সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চার জন্য ডাকসু নির্বাচন মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নির্বাচনী সংস্কৃতি থেকে দূরে ছিল। তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারেনি। এমন বাস্তবতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য একটি আশার আলো হয়ে থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী এবং অন্তর্বর্তী সরকার এবং বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্রভাবে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নিজেদের দায়িত্বশীল হিসেবে যেভাবে উপস্থাপন করেছে, এটাই তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরও শানিত করবে।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, এই নির্বাচনে ইসলামপন্থার বিজয় জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবন পরিচালনায় ধর্মের প্রাধান্য বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ডাকসুতে মুক্ত ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ ভোট দেওয়ার প্রথম সুযোগেই মানুষের ভেতরকার ইসলামবোধ প্রস্ফুটিত হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা যাবে; ইনশাআল্লাহ।
তিনি ডাকসুর নতুন নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। তোমাদের কর্মদক্ষতা, ইনসাফ, সততা ও সবাইকে আপন করে নেওয়ার সাফল্য বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে ইসলামকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে। আর তোমাদের ব্যর্থতা, অদক্ষতা ইসলামপন্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। তাই বলব, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে হবে। সবার মতের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামের উদারতায় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নতমানে পরিণত করতে হবে। ইসলামের প্রাথমিককালে সব ধর্ম ও চিন্তার মানুষ যেভাবে ইসলামে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছে তোমাদের কার্যকালেও যেন সবাই স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদবোধ করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের সর্বাঙ্গিন মঙ্গল করুন এই দোয়া করি।
মন্তব্য করুন