বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ, আদর্শ ও অবদানকে দেশের জনগণ একদিন সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বরিশাল সদর রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নারী নেতৃত্ব ও পেশাজীবী নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নিজের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণ করেছেন, কিন্তু তবুও স্বৈরশাসকের সিদ্ধান্ত ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে কখনো বিরত থাকেননি। তিনি স্বৈরশাসকের আরাম-আয়েশের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জেল ও মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন।
রহমাতুল্লাহ আরও বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াকে পয়জনিং করা হয়েছিল। সেই পয়জনিংয়ের কারণেই আজও তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি। যদি তিনি হাসিনার প্রস্তাব মেনে নিয়ে দেশের বাইরে আরাম-আয়েশে অবস্থান করতেন, তাহলে হয়তো শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতেন, কিন্তু তাতে আজকের বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা দেখা যেত না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও অবদানকে শ্রদ্ধাভরে মূল্যায়ন করবে। আগামী প্রজন্ম ও নারী সমাজ যেন এই ত্যাগের ইতিহাস জানতে পারে—সে জন্য নারী প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রহমাতুল্লাহ বলেন, আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও অবদানের কথা পৌঁছে দিন, যাতে ভবিষ্যৎ নারী প্রজন্ম অনুপ্রেরণা পায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রেশমা আক্তার, নগর বিএনপি নেত্রী আফরোজা, সাবেক বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রদল নেত্রী কাশ্মিরি বেগম বর্ণা, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেত্রী শামিমা নাসরিন পুতুল, ৭ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি মনি প্রমুখ। সভা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা রহমাতুল্লাহ।
মন্তব্য করুন