সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
১২ দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তারা

লাগাতার আন্দোলনে সরকারের বিদায় অবশ্যম্ভাবী

গণতন্ত্র দিবসে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন নেতারা। ছবি : কালবেলা
গণতন্ত্র দিবসে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন নেতারা। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আজকে বর্তমান সরকারের বিদায়ের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। সামনে লাগাতার আন্দোলন আসছে। খুব শিগগিরই এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এসময় মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমানের কারাদণ্ডের সমালোচনা ও তার মুক্তি দাবি করেন নেতারা।

আজ শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্রের ঘাতক, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও সর্বনাশা অনাচারে লিপ্ত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১ দফা দাবিতে এবং আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে’ ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এই সমাবেশ হয়। মাওলানা সামিউল ইসলামের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়।

১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবুল মনসুর ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাসার, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, এই সরকারের পতনের শেষ ঘণ্টা বেজে গেছে। আদিলুর রহমানকে দণ্ড দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হলো। এই সরকার আমাদের সভা সমাবেশর অধিকার কেড়ে নিয়েছে। পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এসব করে শেষ রক্ষা হবে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যা সেলফি তোলার মাধ্যমে চরম হ্যাংলামি করেছে। অথচ কদিন আগেই তিনি বললেন- ২০ ঘণ্টা জার্নি করে তিনি আমেরিকা যাবেন না। সেখানে তিনি সেলফি তোলার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাকর ঘটনা। দেশের মান-ইজ্জত সবকিছুই বিসর্জন দিয়েছে। এদের আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। বর্তমান অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বুটের তলায় চাপা দিয়েছে। সেজন্যই তারা নিশিরাতে ভোট করে ক্ষমতায় আছে। আজকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে আছে।

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকালে উপনীত হয়েছে। কারণ বর্তমান বিনাভোটের সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। আবারও ভোট ছাড়াই নির্বাচন করলে তারা যা খুশি করবে। তবে এবার ডু অর ডাই। লাগাতার আন্দোলন আসছে। এ ছাড়া বিকল্প নেই। আমরা লড়াই করেই এই সরকারের পতন ঘটাব ইনশাআল্লাহ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই সরকার ও জনগণের রাস্তা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। লাগাতার আন্দোলন শুরু হলে এই সরকার পালানোর পথ পাবেন না।

শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বলেন, এই সরকারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এদের বিদায় নিতেই হবে।

আহসান হাবিব লিংকন বলেন, বর্তমান সরকার জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে আছে। আবারও যারা প্রতারণার নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে ইনশাআল্লাহ দেশে তাদের বিচার হবে। কবরও হবে। এমনকি যারা এই প্রতারক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে বিচার করা হবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন। তিনি যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবেন তত তাড়াতাড়ি দেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ রক্ষা পাবেন। তা না হলে আওয়ামী লীগ সরকার পালানোর পথ পাবেন না। সুতরাং সময় থাকতে পদত্যাগ করে বিদায় নিন। মীরজাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপির আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

১০

সেই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন পরীমনি

১১

দুর্গোৎসবে টাইমস স্কয়ারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আবহ

১২

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি

১৩

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা সংশোধন

১৪

কর্মবিরতিতে ভেঙে পড়েছে টিকাদান কর্মসূচি

১৫

আ.লীগ নেতাকে ছিনতাই, ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৬

রাজশাহীতে মা-ছেলেসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

১৭

নীতি-আদর্শের পরিবর্তন করতে পারলেই শান্তি আসবে : ফয়জুল করীম

১৮

সেভিয়ার মাঠে বিধ্বস্ত বার্সা

১৯

আন্তঃশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন কাঞ্চন একাডেমি

২০
X