জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, এই সরকার আবারও দেশে ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো একতরফা ও নিশিরাতে ভোট ডাকাতি করতে চায়। তবে ২০১৪-’১৮ মার্কা নির্বাচন এ দেশের জনগণ আর মানবে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহ-মাগুরা-যশোর-খুলনা রোডমার্চ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
টুকু বলেন, ‘এই সরকার ভোট চুরি করতে চায়। ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে কুত্তা বসে ছিল। এ জন্য সবাই বলে ২০১৪ সালে কুত্তামার্কা নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নিশিরাতে ভোট চুরি করেছে। সেইজন্য বর্তমান সরকারকে নিশিরাতের অবৈধ সরকার বলা হয়। তারা এইবার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়, সেইজন্য দেশে-বিদেশে তদবির করে বেড়াচ্ছে। আমাদের সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভোটডাকাত সরকারকে প্রতিরোধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। এইবার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়, এ সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয় না। সেজন্য আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার সঞ্চালনায় রোডমার্চপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড আসাদুজ্জামান ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান প্রমুখ।