জনরোষ ক্রমেই বাড়ছে, সরকার দিশেহারা। দেশের ভেতরে ও বাইরে বন্ধুহীন হয়ে পড়ার কারণে তাদের পতনের দিন আসন্ন বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
আজ শনিবার (১৪ অক্টোবার) রাজধানীর বিজয় নগরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতাকর্মীদের এবি পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার পরিচালনায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয় প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জাতিসংঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের দায়িত্ব পালন করতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। আরব বিশ্ব ১৯৬৭-পূর্ব সীমানায় যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রস্তাব করেছিল পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে, সেটা বাস্তবায়নে পদক্ষেপের দাবি করছে এবি পার্টি। সবাইকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়ে অনতিবিলম্বে গাজায় মানবিক সাহায্যের করিডোর খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, বিগত দিনে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। এর মূল কারণ ক্ষমতাসীনদের যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার মানসিকতা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যেনতেনভাবে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে জনরোষ ক্রমেই বাড়ছে, সরকারের আচরণে এটা স্পষ্ট তারা দিশেহারা। দেশের ভেতরে ও বাইরে বন্ধুহীন হয়ে পড়ার কারণে তাদের পতনের দিন আসন্ন।
তিনি টালবাহানা না করে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিকদের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যখন একজন নাগরিক অন্য দেশের ভিসা পাওয়া কিংবা অন্য দেশে চলে যাওয়াটায় সৌভাগ্য বলে মনে করছে যা একটা স্বাধীন দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাস্কর ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, দেশের সব সংকটের মূলে রয়েছে বিগত ১৫ বছর ধরে একটি অনির্বাচিত সরকার গণতন্ত্রকামী সব মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশ ও ভোটদানের অধিকার তো দূরের কথা, মানুষের জীবনধারণের অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিতে চাচ্ছে। সরকারের এসব কার্যকলাপ মহান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের তিন মূলনীতির সাথে স্পষ্ট প্রতারণার শামিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠনে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক আমজাদ খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, সুলতানা রাজিয়া, শাহিনুর আক্তার শীলা, যুব পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, যুবনেতা মাসুদ জমাদ্দার রানা, উত্তরের সদস্য সেলিম খাঁন আব্দুর রব জামিল, রুনা হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন