শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো, জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশ কর বাতিল ও শিক্ষাব্যয় সংকোচনের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে মিছিলটি ঢাবির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। পরে রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে ছাত্র সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপক শীল প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘শিক্ষাখাতে জাতীয় আয়ের আট শতাংশ এবং মোট বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে বলে আমরা বারবার বলে এসেছি। কিন্তু শিক্ষাখাতের সঙ্গে সামরিক ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার দিন দিন শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়াচ্ছে। যখন আরও বেশি শিক্ষার্থীকে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আরও প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল, তখন খাতা-কলম কেনার সামর্থ্যটুকুও এই সরকার কেড়ে নিচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন ও অন্যান্য ফি কয়েক গুণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের লেখাপড়ার অধিকার কীভাবে নিশ্চিত হবে? আমরা দেখেছি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি কলেজ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উপরে ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর একই ভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপরে ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাবনা এসেছিল পরে হাইকোর্টের নির্দেশনায় তা স্থগিত হয়।
‘এর আগে ২০১০ এবং ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে ভ্যাট আদায়ের পাঁয়তারা করা হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকার ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। এই বাজেটের মধ্য দিয়ে সরকার এদেশের শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করেছে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ান হক মুক্ত, সহকারী সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাওন বিশ্বাস, মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি রাসেল আহম্মেদসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন