গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বল এখনো আপনাদের (সরকার) কোর্টে। শান্তি ও সেইভ এক্সিট চাইলে অবিলম্বে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে আলোচনা করে সমঝোতার মাধ্যমে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নিন। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক গায়েবানা জানাজা ও দোয়াপূর্ব বক্তব্যে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর হরতাল-অবরোধে নিহতদের স্মরণে গণঅধিকার পরিষদের (নুর) উদ্যোগে এই গায়েবানা জানাজা এবং আহতদের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়।
ভিপি নুর বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালানো হলো, আহত করল- আমরা চুপ থাকতে পারি না। এর বিহিত হওয়া দরকার। গত ২৮ অক্টোবর আমাদের যুব অধিকার পরিষদের নেতা সায়মনের পেটে গুলি লেগেছে। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা রুবেলের চোখে গুলি লেগেছে। গত পরশু আমাদের প্রোগ্রাম শেষে ফেরার পথে গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জ্বলকে তুলে নিয়ে পুলিশ নাশকতার মামলা দিয়েছে। জনগণের সেবক হয়ে পুলিশ এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার করে মানুষকে হয়রানি করতে পারে না।’
প্রশাসনকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের অভিশাপ নেবেন না।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ২৮ অক্টোবরে জনগণের উপস্থিতি দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে যায়। প্রশাসন চাইলে সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। এতে সমাবেশও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সরকারবিরোধীদের মাঠে দাঁড়াতে দেবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে সমাবেশ বানচাল করেছে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমাদের ওপর যারা অত্যাচার-নির্যাতন করছে, আল্লাহ তাদের বিচার করবে।
গায়েবানা জানাজা ও দোয়া শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি পুরানা পল্টন ঘুরে নাইটিঙ্গেল মোড়, বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে ফকিরাপুল হয়ে কালভার্ট রোডে এসে শেষ হয়।
গায়েবানা জানাজা ও দোয়ায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, এডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, আরিফ তালুকদার, সহসভাপতি নিজামউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল ইসলাম, জিলু খান, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ দলের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন