বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগ গত এক মাসে বিএনপির ৯০ জন নেতার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, চলমান হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে সম্পূর্ণ বিনা কারণে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, ভাঙচুর করেছে, না পেলে পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
একজন বিএনপি নেতার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে তাকে আবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী ঘরানার অনেকে বলেছে, এদের নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এখানে তো অভিযোগ দেওয়ার ইন্সট্রুমেন্টটা হচ্ছে এই সরকার। সারা দেশে এভাবে আওয়ামী লীগের তাণ্ডব চলছে।
তিনি বলেন, এসব ঘটনা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এড়িয়ে যান এবং আওয়ামী লীগের পুলিশ সম্পূর্ণরূপে এটাকে উপেক্ষা করে। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা তা বলেন না। বরং বিএনপি নেতাদের বাড়ির সামনে ককটেল ফুটলে সেখানে উল্টো বিএনপি নেতাদের ধরে নিয়ে যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৮০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং ১৭টি মামলায় ১ হাজার ৯১০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারের অনাচার-অত্যাচার, দুঃশাসন, নিপীড়নের ভয়াবহ মাত্রা- এটা কি বিদেশি লোকেরা জানতে পারছেন না, ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা কি জানে না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কি জানে না- সকলেই দেখছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা মানবাধিকার সংগঠন কাজ করে, তারা সেখান থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। তারপরে তারা একটা সিদ্ধান্ত দেয়, তাদের মতামতটা তুলে ধরে।
রিজভী বলেন, দুইদিন আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে বিরোধীদল ও সমালোচকদের ওপর অব্যাহত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আরেকটি একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, আরও অনেক কথা বলেছে।
মন্তব্য করুন