১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ এবার আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। জনসম্পৃক্ত চলমান আন্দোলনেই এ সরকারের পতন ঘটবে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী চলমান অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম সরকারের উদ্দেশে বলেন, এই তামাশার নির্বাচনের তপশিল অবিলম্বে বাতিল করুন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তবে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে নির্বাচনকালীন আলোচনায় উত্তরণের পথটা এখনো একেবারে শেষ হয়ে যায়নি।
তিনি বলেন, এই বিজয়ের মাসেই কঠোর আন্দোলনের মুখে এই সরকারের পতন সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ এবং বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, জনআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে এই সরকার আবারও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ দেশে এবার আর কোনো একতরফা নির্বাচন হবে না। জনগণ এ ধরনের কোনে নির্বাচন হতে দেবে না। তাই সরকারকে বলব, অবিলম্বে একতরফা তফশিল বাতিল ও পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্য জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস রেজা।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, জমিয়তের মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, যুব জাগপার নেতা মনোয়ার হোসেন, জনি নন্দী, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন , ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন