ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবিরকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনী তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার ও বিএনপি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ইখতিয়ার কবির দলের কোনো পদ-পদবিতে নেই। শারীরিকভাবে অসুস্থ। এরপরও গত ২৮ অক্টোবর ঢাকা মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে চলে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পরে রাজধানীর শনিরআখড়ার একটি বাসা থেকে ইখতিয়ারসহ ওই বাসার সদস্য মোস্তফা কামাল রিকুকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো থানায় সোপর্দ করা হয়নি। এ নিয়ে তারা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ইখতিয়ার কবির এবং মোস্তফা কামাল রিকুকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের খোঁজ না দেওয়ার ঘটনা অমানবিকতা। এ ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতিকে প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে আওয়ামী।
তিনি অবিলম্বে দুই নেতার সন্ধান দাবি করেন। অন্যথায় কিছু হলে সরকার এর দায় এড়াতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ইখতিয়ারের স্ত্রী জুঁই আক্তার বলেন, তার ঘরে ছোট শিশুসন্তান। তার স্বামী অনেকদিন থেকে ঘরছাড়া। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। বেশ কিছুদিন আগে ভারতে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন। শুনেছেন গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে তাকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-ডেমরা থানা বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানকে গত ১৯ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আটকের পর এখন পর্যন্ত তাকে আদালত কিংবা থানায় হস্তান্তর না করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ডেমরা থানা বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এবং তার খোঁজ না দেওয়ার ঘটনা আতঙ্কজনক। তাকে এভাবে আটক ও গুম করে রাখা নির্মম অমানবিকতা। আনিসুজ্জামানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই গ্রেপ্তার করেছে। তাকে গ্রেপ্তার ও সন্ধান না দেওয়ার ঘটনায় তাদের পরিবার-পরিজনসহ দলের নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। আমরা অবিলম্বে আনিসুজ্জামানকে জনসমক্ষে হাজির করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। নইলে তার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে আওয়ামী সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।
মন্তব্য করুন