বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের বলেছেন, জনগণকে অবরুদ্ধ রেখে সরকার একটা একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই পাতানো নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে হুমকি-ধমকি, ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু জনগণকে এভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর, পল্টন, দৈনিক বাংলা ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুল কাদের বলেন, মানিকগঞ্জে এক নেতা বলেছেন- নৌকায় ভোট না দিলে হাত কেটে নেওয়া হবে, রংপুর-২ আসনের এক প্রার্থী বলেছেন নৌকায় ভোট না দিলে ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। বরিশাল-৬ আসনের একজন প্রার্থী বলেছেন- নৌকায় ভোট না দিলে দেশ থেকে চলে যান! আমরা বলতে চাই, জনগণকে এভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না। এই জাতি বীরের জাতি, এই জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছে। ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এরশাদকে বিদায় করেছে।
বিপিপির এই মহাসচিব বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর এই দেশকে জেলহাজতে রূপান্তর করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, দ্রুততম সময়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম আজ আকাশচুম্বী। আজ আলুর দাম ৭০-৮০ টাকা। আমার কৃষক কয় টাকা পায়? হঠাৎ একটা জিনিসের দাম বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকা তুলে নেয় সিন্ডিকেট, আর না খেয়ে মরে আমার কৃষক, জনগণ। সরকারকে বলব, অবিলম্বে একতরফা নির্বাচন বাতিল ও পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
এতে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, বিপিপির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, গণফোরামের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, তথ্য ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, ইমাম হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীম, সোলায়মান অয়ন, প্রদীপ ঘোষ, শাকিল হোসেন, বিপিপির নাজমা আক্তার, হারুন-অর রশিদ, আলমগীর হোসেন।
মন্তব্য করুন