সাপ্লাইয়ার্সে ক্রেডিটের নামে ঋণ নিয়ে সরকার বাংলাদেশকে ‘ফতুর’ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এরপরও তারা বড় বড় গলায় কথা বলে। যারা চোর তাদের গলায় আবার জোর বেশি।’
শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যুগপতের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার রোধে সিটি করপোরেশন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বত্র ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকায় এমন একটা ঘরবাড়ি নেই, যেখানে ডেঙ্গু রোগী নেই। কলকাতা তো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। তারা যদি পারে, তাহলে আমরা পারব না কেন? দেশে জনগণ কর দিচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শুধু বড় বড় কথা বলছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে গরম নিয়ন্ত্রণে চিফ হিট অফিসার নিয়োগ নিয়েও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘শুনলাম বিদেশ থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এসে সিটি করপোরেশনে চাকরি দেয়, কী একটা পদের নাম জানি হিট অফিসার। এখন আমরা যে হিটেড হয়ে গেলাম, আমরা এখন এই ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া-করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে পেয়ে সব ‘হিটেড-বুটেড’ হয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে আমাদের বেরুতে হবে।’ গত এক মাসে বিএনপির প্রায় ৮ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার ওরা বলে, আওয়ামী লীগ যখন আসে তখন নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। সেই ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল আওয়ামী লীগের সময়ে কেমন নির্বাচন হয়েছে? কুমিল্লায় দাউদকান্দিতে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে কীভাবে নির্বাচিত করেছিল? এ ঘটনাগুলো তারা সবসময় করে। আওয়ামী লীগের বডি কেমেস্ট্রিতে গণতন্ত্র নাই। একটাই আছে সন্ত্রাস আর চুরি।’
সারা দেশে আওয়ামী লীগের লোকজনের চেহারা বদলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। দেশে আগামী নির্বাচন ‘অবশ্যই’ নির্দলীয় সরকারের অধীনে হবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি জোর করে এই কথা বলছি। এই সরকারের কোনো অধিকার নেই তাদের অধীনে নির্বাচন করার।’
ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি এনে সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে দমনের জন্য এবং বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে তারা (সরকার) এটা করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান ও এসএম শাহাদাত, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিএমএলের ব্যারিস্টার নাসিম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন