সরকারবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের সময় নিহত সাবেক যুবদল নেতা ও আদাবর থানার ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদের পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে নিহত আব্দুর রশিদের দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক এ দায়িত্ব নেন। নিহত আব্দুর রশিদের এক মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে- আরেক মেয়ের বয়স ৩ বছর।
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আব্দুর রশিদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী জনতাকে হত্যা করেছে। তারপরও জনগণ রাজপথ ছাড়েনি। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে সরকার গণমতকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু জনতার বিজয় হবেই।
আমিনুল হক বলেন, আজকে যারা বেঁচে আছেন তারাও বন্দিশালার মাঝে জীবনযাপন করছে। সারা দেশকে সরকার বদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে যেমন পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের সবকিছু শুষে নিয়েছিল, তেমনি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করছে। দেশের জনগণ অর্থের অভাবে ঠিকমতো খেতে পারছে না, অথচ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন। সবকিছুর একদিন হিসাব দিতে হবে এবং সব গুম-খুন এবং লুটপাটের বিচার এদেশেই হবে।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মহানগর নেতা আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিনুল ইসলাম তুহিন, মোহাম্মদ ইউসুফ, মাহফুজ চেয়ারম্যান, এল রহমান, এবিএম আব্দুর রাজ্জাক, আজহারুল ইসলাম সেলিম, মোজাম্মেল হক সেলিম, হাফিজুল ইসলাম শুভ্র, মাহবুবুল হক মন্টু, আহসান উল্লাহ চৌধুরী হাসান, মো. হানিফ, জিয়াউর রহমান জিয়াসহ মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন