কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদের দোষ দিচ্ছে সরকার : গণতন্ত্র মঞ্চ

গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : কালবেলা
গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি। ছবি : কালবেলা

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, জনগণ স্পষ্ট বুঝে গেছে যে, সরকারই সিন্ডিকেটকে লালন পালন করছে। আর সে কারণে বিরোধীদের ওপর দায় চাপাতে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, সিন্ডিকেটের মধ্যে বিএনপির হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। আসলে সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। রেশনিং চালু, টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানো, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামানোর দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।

গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির মোশাররফ হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন এবং নাগরিক ঐক্যের মহিদুজ্জামান মুহিদ। সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন রাতারাতি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এই সরকার তো ২ মাস হলো ক্ষমতায় আসেনি। ১৫ বছর ধরে একটানা তারা ক্ষমতায় আছে। তাদের খুব কাছে থাকা বড় বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পুরো খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে সমস্ত আমদানি ও বিপণনের ওপর একক কর্তৃত্ব বজায় রাখে। তাদের লুটপাটের সুবিধার জন্যই সিন্ডিকেট ভাঙার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয় না। সরকারের নিজস্ব আমদানি উদ্যোগের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা, টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির আওতা বাড়ানো, বেসরকারি পর্যায়ে উন্মুক্ত আমদানির পরিবেশ নিশ্চিত করা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, শুল্ক কমানো ইত্যাদি পদক্ষেপে অপ্রতুলতা ও দীর্ঘসূত্রতা চলতেই থাকে। এর সঙ্গে আবার লুটপাটের অর্থ জোগান দেওয়ার জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়িয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

গত ৭ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনে ভারতের পাশে থাকার বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে নেতারা বলেন, এত নগ্নভাবে দেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে এরা ক্ষমতায় আছে। একতরফা ডামি নির্বাচনের তামাশা করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নগ্নভাবে তারা গোলামের রাজত্ব কায়েম করেছে। ‘দিল্লি আছে আমরা আছি’ এই নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক মর্যাদা যে কোনোভাবেই নিরাপদ নয়, ওবায়দুল কাদের সেটা আবারও প্রমাণ করলেন। নেতৃবৃন্দ সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনজীবনের সংকট নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের ২ সদস্য বরখাস্ত

দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

বাউল শিল্পীদের মারধরের ঘটনায় মামলা

না ফেরার দেশে মেসিকে আর্জেন্টিনা দলে আনার মূল কারিগর

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত, এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’

সড়কে লাগানো ধান কেটে প্রতিবাদী পিঠা উৎসব

পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি বন্ধ ঘোষণা

যা কিছু রেখে গেলেন ধর্মেন্দ্র

এবার একাত্তর ইস্যুতে যাদের বিচার চাইলেন নাসীরুদ্দীন

১০

৭ অক্টোবরের হামলা : ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

১১

টঙ্গী স্টেশন রোডে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে আটক ৪

১২

পাবনায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন

১৩

সিলেটে টানা ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না মঙ্গলবার

১৪

জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রাজনৈতিক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা

১৫

ভূমিকম্পের ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

১৬

নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ও কাঁচা রাস্তা থাকবে না : কাজী আলাউদ্দিন

১৭

বিএনপিতে যোগ দিল চার শহীদ পরিবার

১৮

বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল

১৯

আমার কর্মের ওপর আমার জান্নাত নির্ভর করবে : এ্যানি

২০
X