কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আজকে ৫৩ বছর পর দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি সে কারণটি এখনো বলবৎ । অর্থাৎ এখনো গণতন্ত্র নাই, মানুষের মৌলিক অধিকার নাই, এখনো মানুষের বাকস্বাধীনতা নাই, এখনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, এখনো মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। লুটতরাজ লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি অর্থাৎ জাতির অর্থনীতির কোষাগার আজকে খালি হয়ে গেছে এবং আকাশচুম্বী জিনিসপত্রের দামে আজকে মানুষ দিশেহারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মহান দিনে আমরা এখানে এসেছি যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল সে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক এবং যিনি আধুনিক বাংলাদেশ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করেছেন সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এবং তার আত্মার জন্য দোয়া করতে। আজকে এই প্রাঙ্গণ থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র অর্জিত না হবে আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।’
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ এবং মেজর জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার পটভূমি তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা সন্তানহারা মায়ের কান্না থামাতে পেরেছিলাম। এ স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে স্বামীহারা, বোনহারা, স্বজনহারাদের ব্যথা আমরা একটি পর্যায়ে কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম। কিন্তু আজকে ৫৩ বছর পর আমরা কী দেখছি? আমরা দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি সেই কারণটি এখনো বলবৎ।’
সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আবদুল মঈন খান জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানান। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, আমিনুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম, খন্দকার আবু আশফাক, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, ওলামা দলের নেছারুল হক, জাসাসের লিয়াকত আলী, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
মন্তব্য করুন