মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম খানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের শাড়িতে মুড়িয়ে তারই কবরের পাশে যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সিরাজুল আলম খানের মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে আজ আসরের নামাজের পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলিপুর গ্রামের সাহেব বাড়িতে তার মরদেহ নেওয়া হয়।
দাফনের আগে বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সিরাজুল আলম খানের মরদেহ পৌঁছালে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিরাজুল আলম খান। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা সিরাজুল আলম খান ঢাকার কলাবাগানে ভাইদের সঙ্গেই থাকতেন। ৮২ বছর বয়সী ‘দাদা ভাই’ উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ৭ মে থেকে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। পরে ২০ মে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।
গত ১ জুন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল জাসদ প্রতিষ্ঠা হয়। জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রব। সিরাজুল আলম খান কখনোই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের পরামর্শক ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিতি পান।
রাজনৈতিক অঙ্গনে সিরাজুল আলম খান কখনো সামনে আসতেন না। আড়ালে থেকেই তৎপরতা চালাতেন তিনি। এ জন্যই রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান সিরাজুল আলম খান।
মন্তব্য করুন