হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ মে) বাদ জোহর জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজেদুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, সহ অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মুফতি কামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা রাশেদ বিন নুর, মাওলানা এনামুল হক মুসা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মদ হারুন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন প্রজন্ম যেন ঈমান হারা হয়ে যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কোনো জাতিকে পরাজিত করতে হলে প্রথমে সেই জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আজ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে নৈতিক অবক্ষয়ের সয়লাব চলছে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, প্রশাসনের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা একটি অশুভ চক্র হেফাজতের নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করার জন্য ২০১৩ ও ২০২১ সালে দায়ের করা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, ব্রহ্মণবাড়ীয়া ও চট্টগ্রামের অসংখ্য মামলার চার্জশিট জমা দিয়ে মিথ্যা বিচারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর যারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেককেই মাসের বেশিরভাগ সময় এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজিরা দিয়ে যেতে হচ্ছে। এটা অমানবিক হয়রানি। যার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। নায়েবে রাসুল আলেম ওলামাদের হয়রানির পরিণাম কারও জন্য শুভ হবে না। অবিলম্বে এসব বন্ধ করুন।
এ সময় হেফাজত মহাসচিব বলেন, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটছে। মানবিক সংকট ও অনাহার-দুর্ভিক্ষ চলছেই। আমরা আশা করি, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে ওআইসিসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ'র নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে যাওয়া কয়েকজন নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সভায় পাঠ্যবইয়ে বিতর্কিত বিষয় সংশোধন করার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, আগামী ২ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরে শিক্ষা সেমিনার এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন