ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
সোমবার (২৭ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আনম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, রোববার প্রবল শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেশের উপকূলীয় জেলাসমূহে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসে সৃষ্টি হয়েছে। বহু বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি জনপদে প্রবেশ করেছে। বহু মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ও দমকা প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আমরা জেনেছি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি বা দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ইতোমধ্যে ১০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু খুলনা বিভাগে ১ লাখ ২৩ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩১ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বরিশাল ও চট্টগ্রামের জেলাসমূহে অন্তত আরও লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিপদআপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় বলেন, এই দুঃসময়ে আমাদের বেশি করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। একইসঙ্গে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যেতে হবে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে দুর্গত মানুষের কাছে শুকনা খাবার, পানি ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছাতে হবে। তাদের বাড়িঘর মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা অতীতের সকল দুর্যোগে যেভাবে মানুষের পাশে ছিল এবারও তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন