ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজদের সরকার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, এই সরকার কৃষক-শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষের সরকার নয়। এই সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘বাজেট ২০২৪-২৫’ নিয়ে এক সেমিনারে নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে মানুষকে দুর্নীতিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ অসহায়, দিশাহারা। এ অবস্থা থেকে দেশের সবাই বাঁচতে চায়।
সেমিনারে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার দেশে উন্নয়নের নামে একটি লুণ্ঠনতন্ত্র কায়েম করেছে। নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য কতিপয়কে লুটপাট করার অবাধ সুযোগ দিয়েছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট দেখে বলা যায়, ব্যাংকের লুটপাট অব্যাহত থাকবে। এই বাজেটের ফলে ধনী আরও ধনী হবে, আর গরিবরা মারা যাওয়ার মতো করে বেঁচে থাকবে।
সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা যে লড়াই-সংগ্রাম করছেন সেটি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির লড়াই নয়, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদ উর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন