বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, দেশ ও জাতি এমন একসময় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে জনদুর্ভোগ এখন চরমে।
শুক্রবার (১৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশে দেওয়া শুভেচ্ছা বাণীতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
অপশাসন-দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ক্ষমতাসীনদের অতিমাত্রায় ক্ষমতালিপ্সা পুরো জাতিসত্তাকেই ভঙ্গুর ও দুর্বল করে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। ফলে দেশ এখন অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্য। সরকারদলীয় লোকজন ও বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের লাগামহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার সেদিকেই অঙ্গুলী নির্দেশ করে। ফলে বহির্বিশে দেশ ও জাতির সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে পবিত্র ঈদুল আজহার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল পবিত্র ঈদুল আজহা’র প্রকৃত শিক্ষা রাষ্ট্রীয়, সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিজীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে কল্যাণমুখী ও ন্যায়- ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
তারা বলেন, জাগতিক লোভ-লালসা ও কামনা-বাসনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে পশুপ্রবৃত্তির ওপর বিজয় অর্জনই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা। অন্যায়-অসত্য, অনাচার-পাপাচার, হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম-নির্যাতন, বিভেদ বন্ধ করে সমাজ-রাষ্ট্রে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধন করা পবিত্র ঈদুল আজহার উদ্দেশ্য। কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণময় নিদর্শন। আর সে কল্যাণকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই মোমিন জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
নেতারা গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং নগরবাসীর প্রতি পবিত্র ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
মন্তব্য করুন