জার্মানিতে সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট নিহত সব শহীদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বার্লিনে একটি মিলনায়তনে জার্মান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করা হয়।
শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর হক খান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া।
বিশেষ বক্তা ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রুবেল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বার্লিন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান (মাসুদ)। সঞ্চালনা করেন জার্মান আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরজাহান খান নুরি ও বার্লিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সূর্য কান্ত ঘোষ ।
বক্তব্য রাখেন আলমগীর আলি আলম, শেখ রেদোয়ান, লিখন খান, শাহ আলম, নরুল হক, রনি মাতুব্বর, সাইফুল ইসলাম, পলাশ হাওলাদার, নাজিমউদ্দিন, বৈশাখী ঘোষ, রেশমা আক্তার, কামাল কাজী, অহিদুজ্জামান, মোহাম্মদ বেলাল, ফরিদ আহমেদ, বিলাল হোসেন, সাইফুর রহমান, মো. শাহরিয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান, আওয়াল খানসহ আরও অনেকেই।
শোকসভায় বক্তারা জাতির পিতার মহীয়ান জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তার অবদান এবং তাঁর পরিবারের মহান আত্মত্যাগ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
প্রধান বক্তা সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলি ধারণ করে, তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি প্রবাসে দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং সবাইকে আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। একই সাথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে দেবার জন্য যার যার স্থান থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। আর এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এটা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে দেশ উন্নয়ন হচ্ছে ও পাশাপাশি বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রবাসিদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই ১৫ই আগস্ট ও ২১ আগস্ট নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন