ইতালির ভিচেন্সায় বসবাসরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মাতৃভূমি ও দেশের নিজস্ব জীবনযাপন, কৃষ্টি কালচার, সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার লক্ষ্যে ইতালিতে কমিউনিটিভিত্তিক আয়োজন করা হয় ফেস্টা দে পাপলি (Festa dei popoli)।
রোববার (২৬ মে) ভিছেন্সা প্রবিন্সের থিয়েনে ভিলা ফাভরিস মাঠে আয়োজন করা হয় ফেস্টা দে পাপলি থিয়েনে ২০২৪।
থিয়েনে শহরের মেয়র জনআন্তনিয় মিকোলজি ও সহকারী মেয়র আন্না মারিয়া রেলি কিংবা পদযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা তাদের নিজস্ব পতাকা হাতে পদযাত্রা শেষে সমাবেশ স্থলে পৌঁছে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে যার যার নিজস্ব ভাষায় আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী সবার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেন।
বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধি হয়ে অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কাজী সাত্তার সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রায় ৩০টি দেশের নাগরিকদের নিয়ে ঝাঁকজমকপূর্ণ একটি সুন্দর কালচারাল অনুষ্ঠানে প্রত্যেক দেশের নাগরিকরা তাদের কৃষ্টি কালচার চলনবলন ধ্যানধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। প্রত্যেক দেশের স্টলে সেদেশের নিজস্ব প্রসিদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। এতে আরও অংশগ্রহণ করে থিয়েনের বিভিন্ন স্কুলের কচিকাঁচা ছেলেমেয়েরা, বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তাদের দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্য প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটি থিয়েনেসহ ভিছেন্সা প্রভিন্সের বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে বাংলাদেশিদের ঐতিহ্যের দেশীয় পোশাক পরে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এতে অংশ নেন- শিবলী সাদিক, সিকদার মোহাম্মদ কায়েস, ইমরান খান, মিল্টন খন্দকারসহ প্রমুখ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিত্বকারী কাজী সাত্তার ও রুহুল আমিন মান্নার পাশাপাশি অনুষ্ঠানকে সফল করার লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় সেবা প্রদান করেন- সোহেল পাটোয়ারী, রাসেল মৃধা, আব্দুর রাজ্জাক, কাশেম জসিম, মমিনুল হক, এমদাদ ব্যাপারী, সাব্বির আহমেদ, মতিউর রহমান, আমিন রহমান, রাশেদ ভূঁইয়া, সাদ্দাম হোসেন, মশিউর রহমান সুমন, সোহেল রানা,রাহেল, ইমরান হোসেন, আব্দুল কাহার, হেলাল উদ্দিন, ইব্রাহিম ইবো, হাসান আহমেদ, মহিন, ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান সহ প্রমুখ ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দেশাত্মবোধক গানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক বাংলাদেশি ছেলে মেয়ের মাঝে কমিউনিটির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে কাজী সাত্তার ও রুহুল আমিন মান্না আকর্ষণীয় পুরস্কার ট্রফি বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন