কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া কবুল হয়

ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া কবুল হয়
ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া কবুল হয় । ছবি: কালবেলা গ্রাফিক্স

‘ইসমে আজম’ শব্দটি আরবি। এখানে ইসম অর্থ হচ্ছে নাম আর আজম অর্থ শ্রেষ্ঠ, মহান। আল্লাহর অগণিত গুণবাচক নাম রয়েছে। এ নামগুলোর মধ্যে যেগুলোতে সবচেয়ে বেশি আল্লাহর বড়ত্ব ও মাহাত্ম্য ফুটে ওঠে সেগুলোকে ইসমে আজম বলা হয়ে থাকে।

‘ইসমে আজম’ দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আল্লাহ তাআলার পবিত্র নাম ‘ইসমে আজম’-এর অসিলায় দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন। হাদিসে এ বিষয়ে অনেক নির্দেশনা এসেছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‘ইসমে আজম’ সম্পর্কে কিছু বিশেষ বাক্যের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তা হলো-

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ আল-আসলামি (রা.) তার বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে তার দোয়া এভাবে বলতে শোনেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তুমি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।

আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ওই ব্যক্তির মুখে এ বাক্যগুলো শুনে) তখন বললেন- ‘সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন! নিঃসন্দেহে এ লোক আল্লাহ তাআলার মহান নামের (‘ইসমে আজম’-এর) ওসিলায় তার কাছে প্রার্থনা করেছে; যে নামের ওসিলায় দোয়া করা হলে তিনি কবুল করেন এবং যে নামের অসিলায় (কোনো কিছু সাহায্য) প্রার্থনা করা হলে তিনি তা দান করেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

এ হাদিসের আলোকে দুনিয়ার অনেক হাদিস বিশারদ বলেছেন, এটিই হলো সেই দোয়া; যেটিকে ‘ইসমে আজম’ বলা হয়।

এ ‘ইসমে আজম’ পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে দোয়া করলে অবশ্যই তিনি বান্দার মনের সব ভালো ও কল্যাণকর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজেদের একান্ত কল্যাণকর চাওয়া-পাওয়া পূরণে আল্লাহর প্রতি আন্তরিকতা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, ভক্তি এবং আস্থা-ভরসা রেখে সংক্ষেপে ‘ইসমে আজম’-এর আমল করা। আল্লাহকে ডেকে ডেকে মনের চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণের আবেদন করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে ৩ সবজিতে

ডিবি পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতেন তারা

হাসিনা টুপ করে ঢুকে পড়লে আম গাছে বেঁধে বিচার করবে মানুষ : আখতার

এক ইলিশ বিক্রি হলো ৮ হাজারে

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মামদানির জয়ে মোদি-ভক্তরা ‘ক্ষুব্ধ’ কেন?

ইসলামি এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সবজি বাগানের আড়ালে গাঁজার চাষ

মেসিদের সামনে ইতিহাস গড়ার চ্যালেঞ্জ

সোমবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

ভিডিও ভাইরাল / রেস্ট হাউসে নারী নিয়ে ওসি, ছাত্রদলের হানা

১০

প্ররোচনায় না পড়ে নির্বাচন দিন : মুরাদ 

১১

জুলাই শহীদ আনাসের যে চিঠি পড়ে কেঁদেছে হাজারো মানুষ!

১২

আশিয়ান সিটির মাসব্যাপী আবাসন মেলা

১৩

বগুড়ায় নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা জয়পুরহাটে উদ্ধার

১৪

জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

১৫

‘খতমে নবুওয়ত রক্ষায় আন্দোলনের বিকল্প নেই’

১৬

ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার আইডিয়া দিয়েছিলেন যিনি

১৭

প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক পাচ্ছেন ‘সুখবর’

১৮

ট্রেনের ধাক্কায় কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৯

আশুরায় যেভাবে পতন ঘটেছিল ফেরাউনের

২০
X