বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা হেমায়েত হোসেন সোহরাব।
শনিবার (৫ জুলাই) হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে ডা. খাদেম হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক ছাত্রদল নেতা হেমায়েত হোসেন সোহরাব ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এবং পরে পল্লবী থানা বিএনপিতে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন। তিনি বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের ভাই।
হেমায়েত হোসেন সোহরাব বলেন, একটি অঞ্চলকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে হলে দেশপ্রেমই প্রথম শর্ত। আল্লাহ ভীরুতা ও সুন্নতের অনুসরণের মাধ্যমে মানুষকে ন্যায়ের পথে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুষম বণ্টন এবং আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষিপণ্যের সঠিক উৎপাদন ও কারিগরি শিক্ষার বিস্তারে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমার সুপারিশে হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘোষেরচরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ রিয়াজের নামে লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ, মৌলভীরহাটসংলগ্ন মেঘনা নদী খনন প্রকল্প ও টার্মিনাল এবং মেহেন্দিগঞ্জের সুলতানি খালে ভাঙন রোধে ৯ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন।
রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ছাত্রদল নেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আমি ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হই। এরপর ১৯৮২-৮৫ মেয়াদে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৬-৯০ মেয়াদে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসাহিত্য সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০২০-২৪ মেয়াদে পল্লবী থানা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।
মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে কতটা আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে সোহরাব বলেন, সবার কর্মপরিচয় এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে। আমি শতভাগ আশাবাদী, দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারি, তবে এ দুর্গম ও অবহেলিত জনপথকে উন্নয়নের মাধ্যমে একটি রোল মডেল উপজেলায় রূপান্তর করতে চাই।
মন্তব্য করুন