কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাসুল (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। পবিত্র এ মাস মুসলমানদের জন্য সংযম ও শৃঙ্খলা অনুশীলনের এক পরম পরীক্ষা। রমজান মাস আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি দৈহিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ। তাই এই মাসকে ঘিরে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আরব বিশ্বের কিছু জায়গায় অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে। ফলে পরদিন ১ মার্চ থেকে আরব বিশ্বে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে ২ মার্চ থেকে। পরের ৩০ দিন রোজা পালন করতে হবে।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের আগের মাস অর্থাৎ রজব মাস থেকেই রোজার জন্য প্রস্তুতি নিতেন। রজব মাস এলেই তিনি রমজানের বরকত লাভের দোয়া করতেন। শাবান মাসেও ধারাবাহিকভাবে দোয়াটি পাঠ করতেন তিনি। রমজানের প্রস্তুতির জন্য রাসূল সা. শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। তিনি এই মাসে অন্য যেকোনো মাসের তুলনায় বেশি নফল রোজা রাখতেন। তবে যারা এই মাসের শুরু থেকে নফল রোজা রাখেননি। তাদেরকে তিনি শেষের দিকে নফল রাখতে নিষেধ করেছেন।

রমজানসহ যেকোনো আরবি মাস শুরুর আগেই রাসূল সা. সেই মাসের চাঁদ দেখতেন। এবং তিনি প্রতি শাবানের শেষে চাঁদ দেখে রমজান মাস শুরু করার কথা বলেছেন। শাবান মাসে রাসূল সা. বেশি বেশি রমজান মাস সর্ম্পকে আলোচনা করতেন। এই মাসের ফজিলতের কথা বলতেন। রোজাদারের জন্য আল্লাহ তায়ালা কী কী পুরস্কার রেখেছেন তা আলোচনা করতেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের নিকট বরকতময় রমজান আগমন করেছে। আল্লাহতায়ালা রোজাকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে তার আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং তাতে রয়েছে আল্লাহর জন্য এমন রাত যা হাজার রাত থেকে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো- সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো।

রোজার গুরুত্ব এতই বেশি যে, আল্লাহ নিজেই এর পুরস্কার দেবেন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যই—রোজা ছাড়া। রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। আর রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের চেয়ে বেশি সুগন্ধযুক্ত।’

রোজার কারণে আগের সব গুনাহ মুছে ফেলা হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে ও নেকির আশায় রমজান মাসের রোজা রাখে এবং রাতে দণ্ডায়মান হয় অর্থাৎ নামাজ পড়ে, তার আগের গুনাহসমূহ মাফ করা হয়।

হাদিসে আছে ‘রোজা কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। কেয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন সুপারিশ করবে। কোরআন বলবে, হে আমার রব, আমি তাকে রাতে ঘুমোতে দিইনি। আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ রোজা ও কোরআন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। রোজাদারের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। মজলুমের দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ কখন, কোথায়?

গলের টেস্টের আগে মিরাজকে ঘিরে উদ্বেগে বাংলাদেশ

বগুড়ায় পিস্তলসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ডিভোর্স নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে সালমান খান

বিছানার ওপর পড়ে ছিল সুমির অর্ধগলিত মরদেহ

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

যে বিষয়টি গোপন রাখতে চান শান্ত

প্রবাসী শ্রমিকদের সুখবর দিল বিমান বাংলাদেশ

বিশাল সুখবর পেলেন শিক্ষকরা 

রণবীরের নায়িকা হচ্ছেন কি কৃতি স্যানন?

১০

জবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রবেশে কার্ড ইস্যু করতে হবে সাবেক শিক্ষার্থীদের

১১

লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা নন-এমপিও শিক্ষকদের

১২

নিয়মিত নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ৫৪ শিশু-কিশোর

১৩

ভাঙা প্রেম জোড়া লাগছে অর্জুন-মালাইকার

১৪

দাবি পূরণে সরকারকে পুরোনো অভ্যাস ছাড়ার আহ্বান

১৫

পারমাণবিক অস্ত্র না বানানোর চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ইরান

১৬

স্বামীসহ সাঈদা মুনার বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ, অনুসন্ধানে দুদক

১৭

জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০

১৮

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজে ডিএনসিসির কার্যক্রম শুরু

১৯

আরও ৩৬ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০
X