দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের তিন দিনব্যাপী শতবর্ষ জয়ন্তীর উদ্বোধন

দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শতবর্ষ পূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। ছবি : কালবেলা
দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শতবর্ষ পূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। ছবি : কালবেলা

উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ধর্মীয় পূজা অর্চনা, আলোচনা ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের শতবর্ষপূর্তির তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রাঙ্গণে শতবর্ষপূর্তি উৎসব ও স্বামী অমৃতানন্দ ভবন ও আশ্রম শতবর্ষ মিলনায়তনের উদ্বোধন করেন ভারতের বেলুড় মঠ আশ্রমের সহসংঘাধ্যক্ষ স্বামী সুহিতানন্দজী মহারাজ। এরপর শতবর্ষে শতকণ্ঠে সংগীতাঞ্জলি পরিবেশন করেন দিনাজপুরের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ১০০ শিল্পী।

শতবর্ষ জয়ন্তীর উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

ভারতের বেলুড় মঠ আশ্রমের সহসংঘাধ্যক্ষ স্বামী সুহিতানন্দজী মহারাজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ভারতের আলমোড়া রামকৃষ্ণ কুটীরের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দজী মহারাজ। মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন ভারতের বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহসাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দজী মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন দিনাজপুর আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ মহারাজ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সুরবরানন্দ মহারাজ।

উদ্বোধনী সভা শেষে বর্ণাঢ্য সম্প্রীতি শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সম্প্রীতি শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা এবং হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান এই পরিচয় আমাদের ছিল না। আমরা বলেছিলাম ‘জয় বাংলা’। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তীরে আমরা সবাই বাঙালি। এই আত্মপরিচয়ে আমরা সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের মুখে ছিল জয় বাংলা। মনে রাখবেন, আমরা ধর্ম পালন করব, কিন্তু ধর্মান্ধ হব না। কোনো ধর্মেই উগ্রতা নেই। কোনো ধর্মই বলে না মন্দির, মসজিদ ও গির্জা ভেঙে দাও। কোনো ধর্মই বলে না বোমা মেরে মানুষ হত্যা করো। তাই আসুন আমরা সঠিকভাবে ধর্মা চর্চা করি, মানব সেবার মধ্য দিয়ে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলবে বিএনপি : তেনজিং 

গাজার দুর্ভিক্ষকে ‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’ বললেন হাল্ক

জুলাই সনদের আগে নির্বাচনী রোডম্যাপ সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল

শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুললে দেশের উন্নয়ন হবে : মেয়র শাহাদাত

কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু অক্টোবরে

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষক সমিতির নিন্দা

আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছে গাজার ৫২ শিক্ষার্থী

৬২৯ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা

বড় বোনের অনুপ্রেরণাতেই ডাকসু নির্বাচনে ছোট বোন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল শুরুর সময় পরিবর্তন

১০

‘ডিবির তাড়া খেয়ে’ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বালু ব্যবসায়ীর মৃত্যু

১১

লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন খন্দকার মোশাররফ

১২

অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে : ১২ দলীয় জোট

১৩

শিশুকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’ সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল মরদেহ

১৪

দুই দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীর 

১৫

সাতক্ষীরায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

১৬

শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ঢাকা উত্তর সিটি

১৭

চট্টগ্রামে হোমিওপ্যাথিক বিএইচএমএস কোর্স চালু করবে চসিক

১৮

২০০ রানের ওপরে দলকে নিয়ে যেতে চান লিটন

১৯

ইরানের ওপর ফের ৩ দেশের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা

২০
X