

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। প্রত্যেক মুসলমানের ওপর এই নামাজ ফরজ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে নামাজ কায়েম করো।’ (সুরা ত্বহা : ১৪)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)
রাব্বুল আলামিন আরও বলছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।
নামাজের কথা সামনে আসতেই অনেকে জানতে চান, ‘কেউ যদি প্রসাব করার পর শুধু টিস্যু বা মাটির ঢিলা ব্যবহার করে শুকিয়ে নেয়, পানি ব্যবহার না করে, তারপর অজু করে নামাজ পড়ে, তবে কি তার নামাজ হবে না? পানি ব্যবহার না করার কারণে সে কি নাপাক থেকে যাবে?’
এ প্রসঙ্গে কালবেলার পাঠকদের জন্য উত্তর দিয়েছেন রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ। তিনি বলেন, ‘প্রস্রাবের করে ভালোভাবে টিস্যু ব্যবহার করলেই পবিত্রতা অর্জিত হয়। টিস্যু ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করা জরুরি নয়। পানি থাকার পরও কেউ যদি শুধু টিস্যু ব্যবহার করে, পানি ব্যবহার না করে, তাহলেও তার অজু ও নামাজ শুদ্ধ হবে।’
‘তবে, প্রস্রাবের পর টিস্যু ব্যবহারের পাশাপাশি সুযোগ থাকলে পানিও ব্যবহার করা উত্তম। কারণ এতে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহ তায়ালা অধিক পবিত্রতা পছন্দ করেন।’
সূত্র
কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মা : বর্ণনা ১৪৬, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ : বর্ণনা ৩৯৭৮-৩৯৮৪, বাদায়েউস সানায়ে : ১/১০৪, আলবাহরুর রায়েক : ১/২২৮, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৪৮, রদ্দুল মুহতার : ১/৩৩৮
মন্তব্য করুন