ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন মেঘমল্লার বসু। ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট পেয়ে তার অবস্থান তৃতীয়। নির্বাচন-পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক স্ট্যাটাসে ডাকসুর আলোচিত প্রার্থী মেঘমল্লার বসু বলেন, আমাদের জীবন দিয়ে লড়ে যেতে হবে। একটু বিশ্রাম নিয়ে নেন।
বসু লেখেন, পোস্ট-আইডিয়োলজি বলে কিছু নাই। এগুলা হলো গর্দানকে তলোয়ারের সাথে মিটিংয়ে বসানোর ধান্দা। এই সব বুজরুকির খানা কালকে ব্যালট গোনার সাথে সাথেই শেষ হয়ে গেছে। প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে প্রগতির শক্তি নিয়ে। এই প্রবল প্রতিক্রিয়ার তোড়ে ভেসে গেছে যত পাঁচ-মিশালী শক্তি। একমাত্র অশিবির ডাকসু ক্যান্ডিডেট হিসেবে জিতলেন হেমা চাকমা, যাবতীয় অপপ্রচারের পরও। এই বাজারে আমি প্রায় ৫০০০ ভোট পাইলাম, অমি পিয়াল, পিনাকী, জিয়া হাসান, কুলদা রায়দের সম্মিলিত অনিঃশেষ আক্রমণের মুখেও।
অথচ যাদের পটেনশিয়াল বিজয়ী মনে করা হচ্ছিল, সেই বাগছাস, নতুন স্বতন্ত্র জোট এমনকি ছাত্রদল স্ম্যাশড হইল। রিসোর্স, স্ট্র্যাটিজিস্ট সবকিছুর পরও। ভোট রিগিংটা কন্সিডার করেই বলছি। কাজেই এই আধা-খেচড়াগিরি ছাড়েন। আজ যদি বামপন্থীদের ১৮টা হলেই সংগঠন থাকত, তাহলে হয়তো পুরা পরিস্থিতিই অন্য হইত।
তিনি আরও লেখেন, গিভ পিপল এ প্রপার অল্টারনেটিভ ভিশান। চ্যালেঞ্জ পিপল। আপনার বিশ্বাসে ফার্ম থাকেন। শত্রুর সামনে চোয়ালবদ্ধ আর মানুষের সামনে বিনয়ী হয়ে লড়তে থাকেন। ত্রিশ বছর ধরে পিছাইসি। ১৫ দিনে কী আর পারব। গুড স্টার্ট। মানুষকে উইন ওভার করা খুবই সম্ভব। অপমান, অত্যাচার আর নিগ্রহ বুক পেতে নেন। যত আঘাত সইতে পারবেন, তত লোকের ভরসা হবেন। ভোরের আগেই রাত সবচেয়ে অন্ধকার দেখায়।
৪৮ সালে কমিউনিস্ট দেখলে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ পুলিশে দিত। বিশ বছর বাদে তাদের নেতৃত্বে মানুষ বাংলাদেশ বানাইসে। কোনো শর্টকাট নাই। আমাদের জীবন দিয়ে লড়ে যেতে হবে। একটু বিশ্রাম নিয়ে নেন।
মন্তব্য করুন