স্বাগতিক বাংলাদেশ দিনের শুরুতেই জাকির হাসানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে। কিন্তু বিপদে হাল ধরে বাংলাদেশ দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। তাদের দুজনের বিদায়ের পর মিডল অর্ডারে আসে আরেক ধাক্কা। তবে শেষাংশে ধাক্কা সামাল দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরান মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৭৯ ওভার। ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে শান্ত খেলেছেন ১৪৬ রানের ইনিংস। জয় করেছেন ৭৮ রান। দিন শেষে মিরাজ ৪৩ ও মুশফিক ৪১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
মিরপুরে প্রথম দিনে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রেকর্ড। ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৬১ রান এত দিন ছিল সবার উপরে। এই মাঠে স্বাগতিকদের আগের সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ৩৩০ রান, ২০১০ সালে করেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
সব মিলিয়ে টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩৭৪ রান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে।
সবুজ উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ওভারেই জাকিরকে কট বিহাইন্ড করেন অভিষিক্ত নিজাত মাসুদ।
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রানের জুটি গড়েন জয় ও শান্ত। রহমত শাহর বলে লেট কাট করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। ১৩৭ বলের ইনিংসে ৯টি চার মারেন তরুণ ওপেনার।
জয় ফেরার আগেই নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। আমির হামজার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিনি। ২৩ চার ও ২ ছয়ে সাজান ১৭৫ বলের ইনিংস।
মুমিনুল হক ও লিটন দাস পারেননি বড় কিছু করতে। তিনশর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন মুশফিক ও মিরাজ।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচ শেষে বিরতি দিয়ে আবার জুলাইয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসার কথা রয়েছে আফগানদের।
মন্তব্য করুন