এক সময় যারা টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ চারে (২০১২) জায়গা করে নিয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন নেমে গেছে দশে। পাকিস্তানের কাছে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর আরও একবার ধাক্কা খেল লাল-সবুজের দলটি। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে, টানা চার ম্যাচে হারের পর রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ নিচে নেমে গেছে টাইগাররা।
অ্যাপে থাকা সর্বশেষ র্যাঙ্কিং অনুসারে, বাংলাদেশের পয়েন্ট কমে এসেছে ২২৫ থেকে ২২০-তে। বিপরীতে আফগানিস্তান রয়েছে ২২৩ পয়েন্টে, যার ফলে তারা বাংলাদেশকে টপকে নবম স্থানে উঠে এসেছে। এদিকে বাংলাদেশের ঠিক পেছনেই আছে আয়ারল্যান্ড—তাদের রেটিং ২০২, যেটা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি চাপেরই বার্তা।
আইসিসির সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত (২৭১)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া (২৬২) এবং ইংল্যান্ড (২৫৪)। এছাড়া শীর্ষ পাঁচে আছে নিউজিল্যান্ড (২৪৯) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪৬)। পাকিস্তান রয়েছে আগের মতোই অষ্টম স্থানে, তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ফলে তাদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯।
এক দশক আগে, ২০১২ সালে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে উঠে গিয়েছিল চতুর্থ স্থানে। সেই সময় ভারতের মতো পরাশক্তিকেও টপকে গিয়েছিল দলটি। আজ সেই অর্জন কেবল ইতিহাস হয়ে রয়ে গেছে। একের পর এক পরাজয় আর অস্থিরতা দেশের ক্রিকেটে একধরনের হতাশা এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে চলমান প্রশাসনিক অস্থিরতা, নেতৃত্ব পরিবর্তন, খেলোয়াড়দের ফর্ম ও ইনজুরি—সব কিছু যেন একত্রে প্রভাব ফেলছে মাঠের পারফরম্যান্সে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই র্যাঙ্কিং পতন নিঃসন্দেহে একটি সতর্কবার্তা।
বাংলাদেশের সামনে এখন শুধু দল পুনর্গঠন নয়, প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস ফেরানোরও। টি-টোয়েন্টিতে হারতে হারতে দশে নেমে আসা এই দল কি আবার ফিরে আসতে পারবে সেই পুরোনো উচ্চতায়? সময়ই দেবে উত্তর।
মন্তব্য করুন