আইপিএলের ইতিহাসে স্পিন বোলিংয়ে ভয়ঙ্করতম নামগুলোর একটি আফগান স্পিনার রশিদ খানের। কিন্তু ২০২৫ সালের আসরে সেই রশিদই গড়লেন এমন এক রেকর্ড, যা হয়তো কখনোই তার ক্যারিয়ারের অংশ হতে চায়নি। গুজরাট টাইটানসের হয়ে এবারের আসরে বোলিং করতে গিয়ে একটি আইপিএল মৌসুমে সর্বোচ্চ ছক্কা হজমের লজ্জাজনক রেকর্ড এখন রশিদের দখলে।
শুক্রবার এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারের মাধ্যমে গুজরাট টাইটানসের আইপিএল যাত্রা শেষ হয়। সেই ম্যাচেই চার ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন রশিদ। ইনিংসে হজম করেন আরও দুটি ছক্কা, যা নিয়ে তার এবারের ছক্কা হজমের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩—এটাই আইপিএলের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি।
এক নজরে যে লজ্জার তালিকায় শীর্ষে রশিদ
বোলার | ছক্কা | মৌসুম |
---|---|---|
রশিদ খান | ৩৩ | ২০২৫ |
মোহাম্মদ সিরাজ | ৩১ | ২০২২ |
যুজবেন্দ্র চাহাল | ৩০ | ২০২৪ |
হাসারাঙ্গা | ৩০ | ২০২২ |
ডোয়াইন ব্রাভো | ৩০ | ২০১৮ |
২০২৫ আইপিএলে রশিদ খানের পারফরম্যান্স ছিল নিঃসন্দেহে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়গুলোর একটি।
এই সংখ্যাগুলো বলছে, ব্যাটারদের কাছে কতটা অসহায় ছিলেন এই বিশ্বমানের স্পিনার।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ব্যাট ও ফিল্ডিং—দু'দিকেই বাজে পারফর্ম করেছে গুজরাট। রোহিত শর্মার দুটি ও সুর্যকুমার যাদবের একটি ক্যাচ মিস করে বড় ধাক্কা খায় দলটি। রোহিত ৫০ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেন, আর শেষদিকে তিলক ভার্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মুম্বাই করে ২২৮/৫—প্লে-অফ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
গুজরাটের তরুণ ব্যাটার সুদর্শন ছিলেন ব্যতিক্রমী, ৮০ রানের ইনিংসে দলকে ধরে রেখেছিলেন। তিনি কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ৬৪ এবং সুন্দরের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন বুমরাহ সুন্দরকে ফেরান এবং পরে গ্লিসন ফিরিয়ে দেন সুদর্শনকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি গুজরাট।
আইপিএলের ইতিহাসে রশিদ খান মানেই ম্যাচ ঘোরানো স্পিনার, যিনি ব্যাটসম্যানদের কাছে ছিলেন বিভীষিকা। কিন্তু এবারের আসরে তার সেই ছায়াও দেখা যায়নি। শুধুই পরিসংখ্যানে নয়, আত্মবিশ্বাসেও ছিল বড় ঘাটতি। লজ্জাজনক রেকর্ড হয়তো তাকে কাঁদাবে, কিন্তু ক্রিকেট বিশ্ব এখন তাকিয়ে—এই রশিদ কীভাবে ঘুরে দাঁড়ান, আবার ফিরে পান তাঁর হারানো জাদু।
মন্তব্য করুন