বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জরুরি সভায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এর সাতটি অংশগ্রহণকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রাইজমানি ও টিকিট বিক্রির আয়ের অংশ বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিসিবি জানিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রাপ্য অর্থ থেকে প্রথমে বকেয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি কেটে নেওয়া হবে। এরপর বাকি অর্থ খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধে ব্যবহার করা হবে, বিশেষ করে স্থানীয় ড্রাফট থেকে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, চট্টগ্রাম কিংস রানার-আপ হওয়ায় ১ দশমিক ৫ কোটি টাকা প্রাইজমানি এবং টিকিট বিক্রির আয় থেকে ৫৫ লাখ টাকা পাবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, আংশিক খেলোয়াড়দের বেতন এবং হোটেল খরচ বাবদ ১ দশমিক ১৭৫ কোটি টাকা কেটে নেওয়ার পর চূড়ান্তভাবে তাদের প্রাপ্য থাকবে ৮৭ দশমিক ২৫ লাখ টাকা।
খুলনা টাইগার্সের প্রাপ্য ১ দশমিক ১৫ কোটি টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি কেটে নেওয়া হবে, ফলে তাদের হাতে থাকবে ৯০ লাখ টাকা। রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স যথাক্রমে ৯৫ লাখ ও ৪৫ লাখ টাকা পাবে, যার মধ্যে থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি কেটে নেওয়া হবে।
খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে, চট্টগ্রাম কিংস ৮৭ দশমিক ২৫ লাখ টাকা থেকে ৫২ দশমিক ৩৬ লাখ টাকা স্থানীয় খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধে ব্যয় করবে, ফলে তাদের হাতে থাকবে ৩৪ দশমিক ৮৮ লাখ টাকা। খুলনা টাইগার্স ৯০ লাখ টাকা থেকে ৪৮ লাখ টাকা খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধে ব্যয় করবে, ফলে তাদের হাতে থাকবে ৪২ লাখ টাকা।
দুর্বার রাজশাহী ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্ষেত্রে, খেলোয়াড়দের বকেয়া তাদের প্রাপ্য অর্থের চেয়ে বেশি হওয়ায়, বিসিবি প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত অর্থের অনুপাতে খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধ করবে এবং পরে আর্থিক সমন্বয় করে বাকি বকেয়া পরিশোধ করবে।
এ ছাড়া, টিকিট বিক্রির আয় থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে, প্লে-অফে পৌঁছানো চারটি দল—ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম কিংস, রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স—প্রতিটি ৫৫ লাখ টাকা করে পাবে। অন্য তিনটি দল—দুর্বার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স—প্রতিটি ৪৫ লাখ টাকা করে পাবে। তবে এই অর্থ বিতরণ খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধের স্বীকৃতি পাওয়ার পরেই সম্পন্ন হবে।
বিসিবি জানিয়েছে, যারা এখনো খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিসিবি বিপিএলের আর্থিক স্বচ্ছতা ও খেলোয়াড়দের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন