টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সামারাবিক্রমা ও ডি সিলভাকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সাকিব ও শেখ মেহেদী হাসান।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ক্যান্ডিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ক্যান্ডিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের জবাবে ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৩ রানের সময় দিমুথ করুণারত্নের স্টাম্প উড়িয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে ১৪ রান করা নিশাঙ্কাকে মুশফিকের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করেন শরীফুল ইসলাম। দলীয় ৪৩ রানের সময় লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কুশাল মেন্ডিসকে ৫ রানে বোল্ড করেন সাকিব।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে সামারাবিক্রমা ও আশালঙ্কা মিলে ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। দলীয় ১২১ রানের মাথায় সামারাবিক্রমাকে স্টাম্পিংয়ে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান। সাত রান পরেই লঙ্কান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মতো আঘাত হানেন সাকিব। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ২ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এর টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যান বাংলাদেশের অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ২৫ রানের সময় আরেক ওপেনার নাঈম শেখও আউট হয়ে ফিরে যান। ১৬ রানে লঙ্কান অফ স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ ওপেনার। এরপর ব্যক্তিগত ৫ রানে উইকেটকিপার কুশাল মেন্ডিসের দারুণ এক ক্যাচে আউট হন।
৩৬ রানে টপঅর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৯ রান সংগ্রহ করেন শান্ত। ৯৫ রানের সময় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রানে দাসুন শানাকার শিকার হন হৃদয়। এরপর মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম জুটিতে ৩২ রান সংগ্রহ করেন শান্ত। তবে পাথারিনাকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। মেহেদী হাসান মিরাজ ও মেহেদী হাসানরা সঙ্গ দিতে পারেননি নাজমুলকে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮৯ রানে শান্ত ফিরলে বাকি দুই রান তুলতে তাসকিন ও মুস্তাফিজকে হারায় বাংলাদেশ। ফলে ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার পাথারিনা ৪টি, থিকসানা ২টি এবং ধনাঞ্জয়া, শানাকা ও ওয়াল্লাগে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
মন্তব্য করুন