লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এক মুহূর্তে ভারত ছিল খেলায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে—সকালের আধা ঘণ্টায় তুলে নিয়েছে বেন স্টোকস, জো রুট ও ক্রিস ওকসের উইকেট। ইংল্যান্ড তখন বেশ চাপে। ঠিক তখনই ঘটল বিতর্কিত বল বদলের ঘটনা। আর সেটিই যেন বদলে দিল ম্যাচের রং।
৯১তম ওভারের চতুর্থ বলের পর ভারতীয় ফিল্ডারদের অভিযোগে আম্পায়াররা বলটি পরীক্ষা করেন এবং তা গেজ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বদলে দেন। অথচ বলটি দিয়েই মাত্র ৬৩ বলের মধ্যে ভারত পেয়েছিল ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবুও বল বদল করা হয়, আর সেখান থেকেই শুরু নাটক।
নতুন বল হাতে নিয়ে বল করার আগে মোহাম্মদ সিরাজ বলটি ক্যাপ্টেন শুভমান গিলকে দেন। বল হাতে নিয়েই চটে যান গিল। আম্পায়ার সাইকাত ও শারফুদ্দৌলার সঙ্গে ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে কথা বলেন তিনি। গিলের স্পষ্ট অভিযোগ—বলটি পর্যাপ্ত নতুন নয়, পিচ থেকে আগের মতো সুইং বা মুভমেন্ট আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না।
সিরাজ এরপর বল করতে না গিয়ে আবার আম্পায়ারের কাছে বল বদলের অনুরোধ জানান। স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ে তার বক্তব্য, ‘এইটা কি সত্যি নতুন বল?’ আম্পায়ার তখন তাকে বল হাতে ফিরে যেতে বলেন।
ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, আগের বলটি ৯১-৯৫ ওভারের মধ্যে গড়ে ২.৬ গুণ বেশি সুইং করছিল নতুন বলের চেয়ে। সিম মুভমেন্ট ছিল প্রায় একই, কিন্তু সুইং একেবারে কমে যাওয়ায় ভারতীয় বোলারদের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
ফলাফল? ইংল্যান্ডের ব্রাইডন কার্স ও জেমি স্মিথ পরিস্থিতির পুরো সুবিধা নিয়ে নেন। শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ৫০ রানের জুটি গড়ে ৩০০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলেন তারা। বুমরাহদের সকালবেলার পরিশ্রম যেন এক ঝটকায় মুছে গেল।
বদলে দেওয়া বলটিও টিকল না বেশিক্ষণ। মাত্র ৪৮ বলের মধ্যেই সেটিও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। তবে ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
শুভমান গিল বলেছিলেন, ‘নতুন বলের মতো লাগছে না’, এবং তার প্রমাণ দিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা।
মন্তব্য করুন