সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একসময় তিনি ছিলেন টাইগারদের সবচেয়ে নিন্দিত খেলোয়াড়। তবে তিনি যে প্রতিভাবান এ ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ ছিল না। কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার তিনি। বাংলাদেশের টপ অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক শান্ত আগের ম্যাচেও বাকি সবার ব্যর্থতার মাঝে উজ্জ্বল ছিলেন। সেবার থেমেছেন ৮৯ রানে। তবে সেই আক্ষেপ মিটিয়ে আজ সেঞ্চুরিই করলেন শান্ত।
টিকে থাকার লড়াইয়ে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রশীদ-মুজিবদের বিপক্ষে দুই উইকেট যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে নেমেই খেললেন নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ব্যাট হাতে মিরাজের শতকের পরেই শান্তও পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। ১০১ বলে এসেছে তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি।
তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটি গড়েছে রেকর্ডও। তৃতীয় উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে এটি এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। মিরাজ নিজেও পেয়েছেন ব্যক্তিগত মাইলফলকের দেখা। নিজের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১১২ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তবে, আঙুলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মিরাজের সঙ্গে শান্তর জুটি থেমেছে ১৯৪ রানে। বাংলাদেশের হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জুটি এটি।
শান্ত এদিন নিজের চেনা পজিশন ছেড়ে নেমেছেন চার নাম্বারে। দলের স্কোর তখন ৬৩ রানে দুই উইকেট। তিন রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মুখেই ছিল টাইগাররা। তবে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক সেই ধাক্কার সামাল দিয়েছেন তিনি। বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করেছেন। দলকেও নিয়ে গিয়েছেন শক্ত এক অবস্থানে। এই দুজনের সেঞ্চুরিতে এখন পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম নিজেদের কাছে রাখলেন টাইগাররা।
তবে শেষটা ভালো হয়নি শান্তর। আগের ম্যাচে মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হতে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। এবার রানআউট হয়েই থামতে হলো নাজমুলকে। রিভার্স সুইপ করেই দৌড় শুরু করেছিলেন, তবে ফিল্ডারের কাছে সরাসরি যাওয়াতে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান, ক্রিজে আর ফেরা হয়নি তাঁর। ১০৫ বলে ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস থেমেছে সেখানেই।
মন্তব্য করুন