টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে মেহেদী হাসানের ঘূর্ণির সামনে ধসে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। শুরুতে চাপ, মাঝপথে বিপর্যয়—তবু শেষ দিকে দাসুন শানাকার ২৫ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্যটা মাঝারি হলেও উইকেটের ধীর স্বভাব এবং শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণের কারণে বাংলাদেশকে করতে হবে সাবধানী ব্যাটিং।
বল হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের করে নেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান। শুরুতেই ফিরিয়ে দেন কুশল পেরেরাকে। এরপর একে একে বিদায় করেন চান্দিমাল, অধিনায়ক আসালঙ্কা এবং সেট হয়ে যাওয়া পাথুম নিশাঙ্কাকে। চার উইকেটেই স্পিনার নিজেই মূল ভূমিকা রাখেন; ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট—টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার সেরা বোলিং ফিগার।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে কেবল দুটি ব্যাটিং পারফরম্যান্সই উল্লেখযোগ্য—পাথুম নিশাঙ্কার ৪৬ ও শানাকার অপরাজিত ৩৫। নিশাঙ্কা শুরু থেকেই লড়াই চালিয়ে যান, তবে ১০তম ওভারে মেহেদীর বলে তিনিও ধরা পড়েন। এরপর ধুঁকতে থাকা ইনিংসটিকে একটু গতি দেন কামিন্দু মেন্ডিস (২১)। তবে ১৬.৬ ওভারে ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ড থমকে যায়।
শেষ ওভারে বাংলাদেশের পেসার শরীফুলকে ছয়-চারে তুলোধোনা করে ২২ রান আদায় করেন শানাকা। ওই এক ওভারেই স্কোর ১৩০ ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশের সামনে এখন ১৩৩ রানের লক্ষ্য। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়; এ ম্যাচ জিতলেই শিরোপা। ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিতে হবে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেনদের। তবে কলম্বোর স্লো উইকেটে শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের বিপক্ষে ভুল করলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন