বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন আসর সামনে। তবে মাঠে খেলা শুরু হওয়ার আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ফিক্সিং ইস্যু। গেল আসর নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে অবশেষে মুখ খুললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি জানান, এখনো পর্যন্ত তার হাতে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন আসেনি। তিনি বলেন,
‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন আসেনি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে হাতে পাব। প্রতিবেদন হাতে এলে আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেব। খেলাটিকে রক্ষার জন্য আমরা শতভাগ শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করব।’
বুলবুল জানান, ক্রিকেটারদের মধ্যে দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা বাড়াতেই বিসিবি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বোর্ড চার্টারে রাখা হয়েছে ক্রিকেট ইন্টিগ্রিটি এডুকেশন। দেশের সব স্তরের খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্টদের জন্য এই শিক্ষা কার্যক্রমে থাকছে আইন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার দিকনির্দেশনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ক্রিকেটারদের শেখানো। যাতে তারা জানে দেশের আইন, ইসলামিক মূল্যবোধ ও খেলাধুলার নীতিমালা সম্পর্কে। এতে খেলা আরও সুন্দরভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও বিসিবি সভাপতি মত দেন। তিনি জানান, ডিপিএল নিয়ে খেলোয়াড়দের অসুবিধার কথা শোনা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পরিচালকরা সেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
‘সবাই খোলামেলা আলোচনা করেছে। খেলোয়াড়রা বিকেএসপি নিয়ে কিছু সমস্যা জানিয়েছে, আমরা সেগুলো শুনেছি। সার্বিকভাবে বৈঠকটি ছিল ফলপ্রসূ।’
আগামী নারী বিশ্বকাপ সামনে রেখে বিসিবি সভাপতি নারী দলের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেন। বর্তমানে বিকেএসপিতে অনুশীলনরত দলের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি খানিকটা হতাশা প্রকাশ করেন।
‘এই মুহূর্তে তাদের প্রস্তুতি মানসম্মত বলা যাবে না। আমরা ইতোমধ্যে ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। কীভাবে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দ্রুত বসা হবে।’
ফিক্সিং নিয়ে আলোচনার ঝড় যখন ক্রিকেট মহলে, তখন বিসিবি সভাপতির এই বক্তব্য কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কী সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন