ভারতের তারকা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দলে ভেড়াল বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) সিডনি থান্ডার। এই চুক্তি কেবল অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য নয়, পুরো টুর্নামেন্টের জন্যই এক ধরনের ‘গেম চেঞ্জার’। কারণ অশ্বিন হচ্ছেন প্রথম অভিষিক্ত ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটার, যিনি বিবিএলে মাঠে নামতে যাচ্ছেন।
বিসিসিআইর নিয়মে এতদিন ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ ছিল না। তবে আইপিএল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে অশ্বিন এবার আন্তর্জাতিক লিগগুলোতে পথ খুলে দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি খেলবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি-টোয়েন্টিতেও। তবে সেই আসরের কারণে বিবিএলের প্রথম অংশে তাকে পাওয়া যাবে না। জানুয়ারির শুরুতে তিনি যুক্ত হবেন থান্ডার শিবিরে এবং মৌসুমের শেষ তিন ম্যাচসহ ফাইনাল পর্বে দলকে সেবা দেবেন।
অশ্বিনকে পেতে সিডনি সিক্সার্স, হোবার্ট হারিকেন্স ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সও আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সিডনি থান্ডারের প্রস্তাবেই রাজি হয়েছেন তিনি। থান্ডারের জেনারেল ম্যানেজার ট্রেন্ট কোপল্যান্ড ও কোচ ট্রেভর বেলিস অশ্বিনকে দলে টানার নেপথ্যে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এ দলে আরও আছেন ডেভিড ওয়ার্নারের মতো তারকা, যিনি আগের আসরে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন।
চুক্তি নিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘থান্ডার খুব স্পষ্ট করে জানিয়েছে তারা আমাকে কীভাবে ব্যবহার করতে চায়। তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাটা দুর্দান্ত হয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নারের মতো অধিনায়কের সঙ্গে একই দলে খেলা নিঃসন্দেহে দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।’
সিডনি থান্ডারের হোম ভেন্যু ‘এঞ্জি স্টেডিয়াম’ বিবিএলের সবচেয়ে স্পিনবান্ধব উইকেট। স্থানীয়ভাবে এরই মধ্যে তিনজন স্পিনার থাকলেও অশ্বিনের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ বোলারের উপস্থিতি দলকে অন্য মাত্রা দেবে বলে মনে করছেন কোপল্যান্ড।
এই চুক্তি কেবল মাঠের লড়াইয়েই নয়, মার্কেটিংয়েও থান্ডারকে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে। অশ্বিনের উপস্থিতি সিডনির দর্শকপ্রিয়তা ও স্পন্সরশিপে বড় প্রভাব ফেলবে বলেও আশা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য করুন