এশিয়া কাপ ফাইনালের ট্রফি বিতরণে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে দাবি ছড়িয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন—কঠোর সুরে এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নকভি।
লাহোরে এক বিবৃতিতে তিনি স্পষ্ট করে দেন, ফাইনালের পর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এসিসি বৈঠকে ভারতীয় বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে তিনি কোনো ধরনের দুঃখ প্রকাশ করেননি, বরং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এ ধরনের প্রতিবেদনকে আখ্যা দেন ‘সস্তা প্রচারণা’ হিসেবে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপ ফাইনালের পর ট্রফি বিতরণ ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভারতীয় ক্রিকেটাররা সরাসরি নকভির হাত থেকে ট্রফি ও পদক নিতে অস্বীকার করলে ম্যাচ-পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা ভেঙে পড়ে। টেলিভিশন সম্প্রচারেও জানানো হয়, ভারতীয় দল কোনো পুরস্কার গ্রহণ করছে না।
এই ঘটনার পর ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি ওঠে—এসিসি বৈঠকে নকভি নরম সুরে বিসিসিআইকে আশ্বস্ত করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পষ্ট ভাষায় নকভি লিখেছেন— ‘ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যার ওপর চলে, বাস্তবতার ওপর নয়। আমি কোনো ভুল করিনি এবং কখনো বিসিসিআইর কাছে দুঃখপ্রকাশ করিনি, ভবিষ্যতেও করব না। এই সব খবর ভুয়া এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা শুধু সস্তা প্রচারণা, নিজেদের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারত রাজনীতিকে ক্রিকেটে টেনে আনছে, এতে খেলাধুলার স্পিরিটই নষ্ট হচ্ছে।’
নকভি জানান, এসিসি সভাপতি হিসেবে তিনি সেদিনই ট্রফি হস্তান্তর করতে প্রস্তুত ছিলেন এবং এখনো আছেন। তার ভাষায়, ‘যদি সত্যিই তারা ট্রফি চায়, তবে এসিসি কার্যালয়ে এসে সংগ্রহ করতে পারেন।’
সূত্র জানায়, বৈঠকে বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা ট্রফি হস্তান্তরের অনুরোধ তুললেও নকভি স্পষ্ট জানান, এটি বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল না।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতীয় দলের ট্রফি গ্রহণে অস্বীকৃতির কারণে সমাপনী অনুষ্ঠান প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত ট্রফি ছাড়া অনুষ্ঠান শেষ হয়। মাঠের ধারাভাষ্যকালে উপস্থাপক সাইমন ডুলও বলেন, ‘আমাকে এসিসি জানিয়েছে, ভারতীয় দল আজ কোনো পুরস্কার গ্রহণ করবে না। তাই অনুষ্ঠান এখানেই শেষ।’
মন্তব্য করুন