এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ই সঙ্গী আফগানিস্তানের। ৪ উইকেটে পরাজয়ের পর দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দায়ী করেছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। জানান, প্রথম ১০ ওভার ভালো বোলিং করতে না পারার খেসারতই দিতে হয়েছে তার দলকে।
রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম আর পারভেজ হোসেন ইমন ঝড় তুলেছিলেন শারজাহতে। প্রথম ১১ ওভারে বিনা উইকেটে আসে ১০৯ রান। মনে হচ্ছিল, ১৫২ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই তাড়া করে ফেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনারদের বিদায়ের পর যেন ভেঙে পড়ে গোটা ইনিংস। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটার। ভয় ধরিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক জানান, ছন্দ হারালে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। আর ঠিক সেটিই হয়েছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। রশিদ খান বলেন, ‘আমরা আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। টি-টোয়েন্টিতে ছন্দ হারানোর সুযোগ নেই। একবার ছন্দ হারালে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। আমার মনে হয়, প্রথম ১০ ওভার আমরা ঠিকঠাক বোলিং করতে পারিনি। যত বেশি স্টাম্পে বল করা যায়, তত ভালো। আমরা যখনই নিয়মিতভাবে স্টাম্পে বল করতে শুরু করেছি এবং ব্যাটারদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছি, তখনই ম্যাচে ফিরতে পেরেছি।’
বিশ্বকাপই আপাতত মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের। আর তাই ব্যাটারদের থেকে আরও দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করেন রশিদ খান। আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা খুব সহজেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। আশা করি, আমরা শিখতে থাকব এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলব। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। ব্যাটারদের উচিত নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় মনোযোগ দেওয়া। আর সেটির জন্য সময় নেওয়া যেতে পারে; কিন্তু চাপের মুখে শট বাছাইয়ের ভুলটা হয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, ম্যাচে আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর বড় ভূমিকা ছিল রশিদ খানের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগস্পিনার। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।
মন্তব্য করুন