

রাওয়ালপিন্ডির রাতটা যেন জিম্বাবুয়েরই ছিল। ব্যাট হাতে ধকল সামলে মাঝপথে ঘুরে দাঁড়ানো, তারপর বল হাতে নিখুঁত পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিল সিকান্দার রাজার দল। ম্যাচের শেষ দিক পর্যন্ত মাঠে একটাই সুর: জিম্বাবুয়ে এসেছে, লড়েছে, আধিপত্য দেখিয়েছে।
পাকিস্তান আয়োজিত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পুরো ইনিংস জুড়েই বিপর্যস্ত ছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার টিকলেও স্কোরবোর্ডে ওঠে মাত্র ৯৫ রান। একাই লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা—২৫ বলে ৩৪। তার বাইরে ডাবল ফিগার ছুঁতে পেরেছেন কেবল ফিরতি ব্যাটার ভানুকা রাজাপাকসে (১১)।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের নায়ক ব্র্যাড ইভানস। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট—ম্যাচের গতিপথ একাই ঘুরিয়ে দেন তিনি। রিচার্ড এনগারাভা নেন ২ উইকেট, আর তিনোটেন্ডা মাপোসা, গ্রেইম ক্রেমার, রায়ান বার্ল ও সিকান্দার রাজা পান একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট হাতে প্রথমেই দুলতে থাকা জিম্বাবুয়েকে টেনে তোলেন টাভেনডা বেনেট ও সিকান্দার রাজা। ৪০ রানে দুই ওপেনার ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে দু’জনের ৬১ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত শক্ত করেন। বেনেট খেলেন ৪২ বলে ৪৯—৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো ইনিংস। রাজা খেলেন আরও ধুন্ধুমার ব্যাটিং—৩২ বলে ৪৭, ৩ চার ও ২ ছক্কা।
হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত লেগ–স্পিন অবশ্য মাঝপথে জিম্বাবুয়ের মধ্য–অর্ডারকে নাড়া দেয়। ৪ ওভারে ৩২ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি ফেরান বেনেট, বার্ল ও মুনিয়োঙ্গাকে। কিন্তু ততক্ষণে জিম্বাবুয়ে গড়ে ফেলেছে প্রতিযোগিতামূলক স্কোর। শেষ দিকে মুসেকিওয়ার দ্রুত ১১ রানে স্কোর দাঁড়ায় ১৬২/৮—যা শেষ পর্যন্ত যথেষ্টের অনেক বেশি প্রমাণিত হয়।
বল হাতে লঙ্কানদের মধ্যে হাসারাঙ্গাই সেরা, মালিঙ্গা নেন ২ উইকেট, থিকশানা ও চামিরা একটি করে।
মন্তব্য করুন