

পার্থে সফরকারী ইংল্যান্ডকে বিষাদে ডুবিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আনন্দের ঢেউয়ে ভাসিয়েছেন ট্রাভিস হেড। সফরকারীদের দেওয়া ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে হেড যেন খেলতে শুরু করলেন ‘টি-টোয়েন্টি’। চার-ছয়ের ফুলঝুড়িতে একাই করেছেন ৮৩ বলে ১২৩। বাঁহাতি এ ব্যাটার তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৬৯ বলে, যা টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রানতাড়ায় দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড। অজি এই ব্যাটারের বিশ্ব রেকর্ডে ভর করে অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে।
ইংল্যান্ড শুধু ৮ উইকেটের ব্যবধানেই হারেনি, হেরেছে দুই দিনের মধ্যেই। অ্যাশেজ ইতিহাসে দুই দিনের মধ্যে কেউ টেস্ট হারল ১০৪ বছর পর।
রান তাড়ায় নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জেক ওয়েদারহের্লান্ডের সঙ্গে ৭৯ রান যোগ করেন হেড। ২৩ রান করে দলীয় ৭৫ রান জেক বিদায় নেন ব্রাইডন কার্সের বলে। এরপর ১১৭ রানের জুটি গড়েন হেড ও লাবুশেন। এই জুটিও ভাঙেন কার্স। ওলি পোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১২৩ রান করে হেড বিদায় নেন । জয় থেকে তখন কেবল ১৩ রান দূরে অজিরা। বাকি কাজটুকু সেরে নেন লাবুশেন ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। লাবুশেন অর্ধশতক আদায় করে ৫১ ও ২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ।
এর আগে, ৪০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বোলিং তোপে চাপে ছিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই ওপেনার জ্যাক ক্রোলিকে ফেরান মিচেল স্টার্ক।
বেন ডাকেট এবং ওলি পোপ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তারা। ৪০ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেন ডাকেট আর পোপ এর ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
অজি বোলারদের বোলিং তোপে ৮৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জেমি স্মিথ। ২৫ বলে ১৫ রান করে বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের বিচক্ষণ এক সিদ্ধান্তে বিদায় নিয়েছেন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রান তুলে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন স্কট বোল্যান্ড। ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক এবং ব্রেন্ডন ডগেট।
মন্তব্য করুন