

অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট দুই দিনেরও কম সময়ে জিতে অস্ট্রেলিয়া দারুণ সূচনা করেছে। তবে মাঠের বাইরে সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি প্রশ্ন—অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান পেস তারকা জশ হ্যাজেলউডকে কি আর দেখা যাবে এই সিরিজে? প্রথমে যেটি সাধারণ হ্যামস্ট্রিং সমস্যার মতো মনে হয়েছিল, সেটিই এখন রূপ নিয়েছে গুরুতর আশঙ্কায়। আর এই উদ্বেগই অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিং রুমে নতুন চাপ তৈরি করেছে।
সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলো বলছে, শেফিল্ড শিল্ডে খেলার সময় হ্যাজেলউডের যে ব্যথা দেখা দেয়, তা কেবলমাত্র ‘স্ট্রেইন’ নয়— সম্ভাব্য টেন্ডন ইনজুরিতে রূপ নিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট ইট অ্যাল-এর পিট লালর। তার ভাষায়, “যদি আশঙ্কাগুলো সত্যি হয়, তবে পুরো অ্যাশেজেই তাকে আর দেখা নাও যেতে পারে।”
এসইএন-এর রিপোর্টেও একই সুর—ব্রিসবেন টেস্টের পর হ্যাজেলউডের খেলার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। টম মরিস জানাচ্ছেন, “এখনো কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না, তিনি এই সিরিজে আবার মাঠে নামতে পারবেন কিনা।”
পার্থে প্রথম টেস্টে মিচেল স্টার্ক একাই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছেন দুর্দান্ত ১০ উইকেট শিকার করে। কিন্তু বোলিং অ্যাটাকের বাকি দুই স্তম্ভ— হ্যাজেলউড ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স—উভয়েই ছিলেন বাইরে। কামিন্স নিচের পিঠের চোটে ভুগলেও ব্রিসবেন টেস্টে ফিরতে “অর্ধেক সম্ভাবনা” দেখছেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে স্কট বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডন ডগেটকে খেলানো হয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই জুটি কতটা স্থায়ী সমাধান দিতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার ইনজুরি তালিকা এখন লম্বা—
অপরদিকে মাইকেল নেসার স্কোয়াডে থাকলেও দীর্ঘ সিরিজে পেস আক্রমণের ভারসাম্য ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন প্রশ্ন—অ্যাশেজের মাঝপথেই কি অস্ট্রেলিয়া তার সবচেয়ে ধারালো অস্ত্রটিকে হারাতে চলেছে?
হ্যাজেলউডের ইনজুরি যদি সত্যিই টেন্ডন-সম্পর্কিত হয়, তবে আগামীর পথ আরও কণ্টকাকীর্ণ। শুধু ব্রিসবেন নয়, পুরো সিরিজেই তার ফেরা নিয়ে এখন বড় প্রশ্নচিহ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ধারা বজায় রাখার লড়াই যেমন চলবে, তেমনি চলবে হ্যাজেলউডকে আবার দেখা যাবে কি না—এই অনিশ্চয়তা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল আপডেটই এখন সবার অপেক্ষার কেন্দ্রবিন্দু।
মন্তব্য করুন