

অ্যাশেজ সিরিজ মানেই মাঠে লড়াই, উত্তাপ আর বাড়তি রোমাঞ্চ। গ্যাবায় দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে ঠিক সেটাই দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও ইংল্যান্ডের জফরা আর্চারের মধ্যে। ম্যাচ জয়ের আগ মুহূর্তে দুজনের কথার লড়াই ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাঠের পরিবেশ।
ব্রিসবেন টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ৬৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিল। তখনই শুরু হয় স্মিথ–আর্চারের দ্বৈরথ। শেষ দিনের নবম ওভারে আর্চারের প্রথম বলেই চার হাঁকান স্মিথ, এরপরই মুখ খুলে ইংলিশ পেসারকে উদ্দেশ করে কিছু কড়া কথা শোনান অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
স্মিথের মন্তব্যে স্পষ্টই উসকে যান আর্চার। পরের বলেই গতির ঝড় তুলে বাউন্সার ছুড়েন তিনি। স্মিথ তাতে কোনোরকমে ব্যাট ছুঁইয়ে বল সীমানায় পাঠান। এরপর দুজনই এগিয়ে এসে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না।
১৪৯-১৫০ কিমি গতির বোলিং করলেও শেষ হাসিটা ছিল স্মিথেরই। ওই ওভারে আরেকটি বাউন্সারকে বিশাল ছক্কায় পরিণত করেন তিনি। বল সীমানা পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই চুপসে যায় আর্চারের উত্তেজনা। হাসিমুখে নিজের রানআপে ফিরে যান ইংলিশ পেসার।
এই উত্তপ্ত মুহূর্তের পর আর কোনো বাধা ছাড়াই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। আট উইকেটের দাপুটে জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এর আগে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকস। তবে মাইকেল নেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পুরোপুরি গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন নেসার।
লক্ষ্য তাড়ায় স্টিভ স্মিথ ও জেক ওয়েদারাল্ড অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন। স্মিথ ২৩ ও ওয়েদারাল্ড ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন—এই দুই উইকেটই পায় ইংল্যান্ড, দুটিই নেন গাস অ্যাটকিনসন।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচে হার বা ড্র হলে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন আবারও অপূর্ণই থেকে যাবে স্টোকসদের।
মন্তব্য করুন