এবারের ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরুর দিকে ভারত দলে বলতে গেলে ব্রাত্যই ছিলেন মোহাম্মদ শামি। প্রথম চার ম্যাচেই তাকে বেঞ্চ গরম করতে হয়েছে অথচ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভাবনীয় রেকর্ড তার। হার্দিক পান্ডিয়ার অসময়ের ইনজুরিতে অবশেষে কপাল খুলে তার। প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ চুর্ণ বিচর্ণ করে নিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। থেমে থাকেননি পরের দুই ম্যাচেও। তিন ম্যাচ খেলে দুই ফাইফারে তুলে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। আর এতে রেকর্ড বইয়ের কিছু রেকর্ড আবার নতুন করে লেখতে বাধ্য করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার লঙ্কানদের ৫৫ রানে গুটিয়ে ৩০২ রানের বড় জয় পেয়েছে ভারত। স্রেফ ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান শামির। এর সৌজন্যে জিতেছেন তিন ম্যাচের মধ্যে দুবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
বৈশ্বিক যেকোন টুর্নামেন্টেই শামির রেকর্ড ঈর্ষনীয়। গতকালের পুরস্কারসহ শামির এটি তৃতীয় ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেও ৫ উইকেট নিয়ে পান এই পুরস্কার। ভারতের আর কোনো বোলার বিশ্বকাপে দুবারের বেশি এই কীর্তি নেই। সব মিলিয়ে শামির চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা বোলার স্রেফ একজন- অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা, ৬ বার করেছেন তিনি এই কীর্তি। এছাড়া চামিন্দা ভাস, লাসিথ মালিঙ্গাও তিনবার পেয়েছেন এই স্বীকৃতি।
গতকালের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে শামির তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকে পেল। গত আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি প্রথম নেন ৫ উইকেট। এই কীর্তি দিয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৫ উইকেটের রেকর্ডে মিচেল স্টার্কের পাশে বসলেন তিনি। আর কোনো বোলারের দুবারের বেশি নেই ৫ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও হয়েছেন শামি। স্রেফ ১৪ ইনিংসে ৪৫ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন ভারতের দুই সাবেক পেস তারকা জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথের। জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথের যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৪ ইনিংস লেগেছে ৪৪ উইকেট পেতে।
ওয়ানডেতে শামির চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট শিকার এটি। ভারতের হয়ে তিনিই এখন সর্বোচ্চ ৫ উইকেটের মালিক। তিনবার করে ৫ উইকেট রয়েছে হারভাজন সিং ও শ্রীনাথের।
শামি আজ চারিথ আসালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দুশান হেমন্ত, দুশ্মান্থে চামিরা ও কাসুন রাজিথাকে আউট করেন। পাঁচ উইকেট পাওয়ার পর শামি জানান, ‘সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সাদা বলের ক্রিকেটে উইকেট পাওয়ার জন্য সব সময় ভালো জায়গায় বল ফেলতে হবে। যদি ভালো জায়গায় বল ফেলা হয় তাহলে পিচের সুবিধা পাওয়া যাবে নতুন বলে।
মন্তব্য করুন