ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে যে দুঃসময় চলতেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম দুই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা এবারের বিশ্বকাপে জায়গায় পায়নি। সেই থেকেই ঘুরে দাড়ানোর চেস্টা চলছিল দ্বীপ রাস্ট্রের ক্রিকেটারদের। আর এই ঘুরে দাড়ানোর লম্বা পথে বড় একটি পা দিল তারা। ঘরের মাটিতে ২৫ বছর পর হারালো শাই হোপের দল ইংলিশদের।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ব্রিজটাউনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেটে ২০৬ রান করে ইংলিশরা। রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানদের পুঁজি যখন ৩১.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান, তখন ফের বৃষ্টি নামে। পরে ডিএলএস ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তাতেই ১৯৯৮ সালের পর ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ জেতে ক্যারিবিয়ানরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য এই ঐতিহাসিক সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জয়ের মূল নায়ক তরুণ পেসার ম্যাথিউ ফোর্ড। অনভিজ্ঞ এই পেসারই ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপের ধস এনে দেয়।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকের সঙ্গে তিন নম্বরে নামা জ্যাক ক্রাউলিকেও আউট করে দেন তিনি। এরপর বাকি বোলাররাও জ্বলে উঠলে পুঁজি খুব বড় করতে পারেনি ইংলিশরা।
এদিন মাত্র ৪৯ রানেই প্রথম সারির পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। এরপর লিয়াম লিভিংস্টনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বেন ডাকেট। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের ৮৮ রানের জুটি ইংলিশদের লড়াইয়ের পুঁজি দেয়।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ডাকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন লিভিংস্টন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ফোর্ড ও আলজেরি জোসেফ। এছাড়া ২টি উইকেট পান রোমারিও শেফার্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ব্রান্ডন কিংকে হারিয়ে বড় চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার আলিক অ্যাথানাজে ও কেসি কার্টির ৭৮ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফিরে আসে তারা। এরপর এই জুটি ভাঙলে শেষ দিকে শেফার্ডের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন কার্টি। ৫৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। আলিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৫১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ২৮ বলে ৪১ রানের ক্যামিও খেলেন শেফার্ড। সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে উইল জ্যাক ৩টি ও গাস অ্যাটকিনসন ২টি উইকেট নেন ।
মন্তব্য করুন