চট্টগ্রামের সাগরিকায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ১২৬ রানে অলআউট হয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে আফগান টপ অর্ডাররা। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই তিন উইকেট তুলে নেন টাইগার পেসাররা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২১ রান তুলতে সক্ষম হয় আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা আফগানিস্তান।
আজ দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে দলে আসা শরীফুল ইসলাম নিজের দ্বিতীয় ওভারেই শিকার করেন দুই উইকেট। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো গুরবাজকে দলীয় ১৪ রানে ফেরত পাঠিয়েছে তাসকিন আহমেদ।
সাগরিকায় শুরু থেকেই সতর্ক ব্যাটিং শুরু করেন দুই আফগান ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। প্রথম ওভারে শরীফুল ওভার দ্য উইকেট থেকে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করতে থাকেন। সে ফাঁদেই পা বাড়িয়ে দেন ইব্রাহিম জাদরান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
ওয়ান ডাউনে নামা রহমত শাহ টিকলেন মাত্র চার বল। এবারও শরীফুলের আঘাত। রহমত শাহ বলের পজিশনে যাওয়ার আগেই ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপার মুশফিকের গ্লাভসে জমা হয়। আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজও ফিরে যান ২২ বলে মাত্র ৬ রান করে। মুশফিকুর রহিম অনেকটা লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান আফগান ওপেনারকে।
অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ সাহিদি ও নজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ৩২ রানে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন নজিবুল্লাহ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফগান দলপতি। ৫২ রানের সময় ২২ রান করে স্পিনার তাইজুলের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। ইনিংসের শুরুতে তিন উইকেট নেওয়া ফাস্ট বোলার শরীফুল দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসেই অভিষিক্ত আফগান বোলার আব্দুল রহমানকে আউট করেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করতে থাকেন অলরাউন্ডার আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। অসাধারণ ব্যাটিং শৈলী প্রদর্শন করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সর্বোচ্চ ৫৬ রানে তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে দলকে ভরাডুবির হাত থেকে রক্ষা করেন। বাংলাদেশের শরীফুল ইসলাম ২১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন। সাকিব ও মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন