সিলেট টেস্টের জন্য ঘোষিত একাদশে সবাইকে অবাক করে জায়গা করে নেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। ঘন্টায় ১৪০ কি.মি এর বেশি গতিতে বল করতে পারা এই পেসারকে রাখা হয় প্লেয়িং এলিভেনেও। এমনিতেই এমন বোলারের অভাব বাংলাদেশে। সেদিক থেকে এরকম একজন নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সম্পদ হিসেবেই আবির্ভূত হবে। তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভালো করবেন তা আজকের টেস্টের প্রথম দিনেই দেখালেন।
সিলেটে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। মাত্র ৫৭ রানেই সফরকারীদের ৫ উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। তবে এরপরই অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের দুইশত রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। তাদের দু’জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের দিকেই ছুটছিল সফরকারীরা। তবে এই সেঞ্চুরিয়ানকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশ দলকে ম্যাচে ফেরান আজকের ম্যাচে অভিষেক হওয়া নাহিদ রানা। দুই ওভারে দুই সেঞ্চুরিয়ানের পর তিনি ফেরান প্রভাথ জয়সুরিয়াকেও।
ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দুর ব্যাটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া শ্রীলঙ্কা যখন ম্যাচ থেকে বাংলাদেশকে পুরোপুরি ছিটকে ফেলার পায়তারা করছিল তখনই রানার আঘাত। লঙ্কানদের দলীয় ২৫৯ রানে কামিন্দুর উইকেট নেন তিনি। তার ছোড়া ‘গুলিসম গতি’র বলে আলতো ব্যাট ছুঁয়ে লিটন কুমার দাসকে ক্যাচ দেন লঙ্কান ব্যাটার। তার আগে অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কামিন্দু। ১২৭ বলে ১০২ রান করেন তিনি। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
কামিন্দু ফেরার পর ধনাঞ্জয়াকে সঙ্গ দিতে নামেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। একটু পরই সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। চার হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পান সিলভা। রানার পরের ওভারে তিনি আউট হন মেহেদী মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে, ১৩১ বলে লঙ্কান অধিনায়ক করেন ১০২ রান। এরপরের ওভারের চতুর্থ বলে নাহিদ ফেরান জয়াসুরিয়াকে।
এর আগে সিলেটে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। একপর্যায়ে ৫৭ রানে তখন ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে সফরকারীরা। সেই চাপ সামাল দেন কামিন্দু ও সিলভা মিলে।
মন্তব্য করুন