আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজ ছিল বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা চার ম্যাচ জিতে জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু বাংলাদেশের সেই স্বপ্নে রীতিমতো জল ঢালল জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও রায়ান বেনেট। তাদের দুই জনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ম্যাচে রীতিমতো বাংলাদেশের বোলারদের কচুকাটা করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে সফরকারীরা।
রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে তাদের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা করেন ৭২ রান, এ ছাড়া ব্রায়ান বেনেটের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। টাইগারদের পক্ষে সাকিব ও সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।
জিম্বাবুয়ের সামনে বাংলাদেশের দেওয়া টার্গেটটা ঠিক কম ছিল না। ১৫৮ রানের লক্ষ্য মিরপুরের পিচ হিসেবে যথেষ্ঠই মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের। যেহেতু সিরিজে এর আগে এতো বেশি রান সফরকারীরা করতে পারেনি কখনোই। তবে বাংলাদেশ আজকে জিম্বাবুয়ের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি। তাদের দেয়া লক্ষ্য হেসেখেলে উতরে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে সিকান্দার রাজা বাহিনী।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ব্রায়ান বেনেট। পাওয়ারপ্লেতেই স্কোরবোর্ডে একাই ৩৭ রান করেন তিনি। এরই মধ্যে অবশ্য সাকিব আল হাসান ফেরান আরেক ওপেনার মারুমানিকে । সাকিব ওই স্পেলে ২ ওভারে দেন ২ রান। এরপর বেনেটের জুটি হয় সিকান্দার রাজার সঙ্গে।
৩৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বেনেট। ধীরগতিতে খেললেও অন্যপ্রান্তে তাকে ভালো সঙ্গ দেন রাজা। দলীয় ১১৩ রানে বেনেট আউট হন ৪৯ বলে ৭০ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৫টি করে চার ও ছয়ের মার। ৭৫ রানের জুটিতে জয়ের কাছেই চলে যায় জিম্বাবুয়ে। বাকি কাজটা দৃঢ় হাতে শেষ করেন রাজা ও জনাথন ক্যাম্পবেল। ৪৬ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছয় হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন রাজা। ক্যাম্পবেল অপরাজিত থাকেন ৮ রান করে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ৪ ওভারে ৫৫ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন।
এর আগে মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন সর্বোচ্চ ৫৪ রান। সফরকারীদের পক্ষে বেনেট ও মুজরাবানি নেন ২টি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন