শিরোপা ভাগ্য লেখা হয়ে যাওয়া অনাগ্রহের লিগের চার ম্যাচে তিন হ্যাটট্রিক হলো। চরম নাটকীয়তা ছিল সর্বোচ্চ গোলদাতা দ্বৈরথ নিয়ে। তুমুল লড়াইয়ের পর মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে ও রহমতগঞ্জের স্যামুয়েল বোয়েটাংয়ের সমান ১৯ গোল নিয়ে লিগ শেষ করলেন। হ্যাটট্রিক করেছেন দুজনই, আরেক হ্যাটট্রিক বসুন্ধরা কিংসের শেখ মোরসালিনের। লিগের শেষ দিন পাওয়া জয়ে রানার্সআপ নিশ্চিত হলো আবাহনীর।
ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডান জিতেছে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে। পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোল করা সুলেমান দিয়াবাতে ২৩, ৩৯, ৭৫ ও ৯০ মিনিটে আরও চারবার বল জালে পাঠান। মোহামেডানের আরেক গোল করেন সৌরভ দেওয়ান। ইয়াংমেন্স ক্লাবের একমাত্র গোল করেছেন রাফায়েল টুডো।
বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে রহমতগঞ্জ জিতেছে ৪-১ গোলে। পুরান ঢাকার ক্লাবটির চার গোলের তিনটি করেছেন স্যামুয়েল বোয়াটাং। আরেক গোল করেছেন সলোমন কিং। পুলিশের একমাত্র গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান দানিলো কুইপাপা। লিগজুড়ে গোলদাতা তালিকার শীর্ষে থাকা স্যামুয়েল বোয়েটাংয়ের হ্যাটট্রিকও এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব নিশ্চিত করতে পারেনি। পাঁচ বার লক্ষ্যভেদে এ ঘানাইয়ানের সমান ১৯ গোল করে তাতে ভাগ বসান সুলেমান দিয়াবাতে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছিলেন মৌসুমজুড়ে বেঞ্চে থাকা বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড শেখ মুরসালিন। তার হ্যাটট্রিকের দিনে স্কোরশিটে নাম লেখান আরও দুই স্বদেশী ফরোয়ার্ড রাব্বি হোসেন রাহুল ও রাকিব হোসেন। ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ৫-৩ গোলে জয়ের ম্যাচে কিংস একাদশ সাজিয়েছিল স্থানীয় খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে। ওয়ান্ডারার্সের হয়ে গোল তিনটি করেন সাদিক আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ও মঞ্জুরুল করিম।
ব্যক্তিগত জীবনে নানা জটিলতার সঙ্গে ক্লাবে খেলার সুযোগ কমে গিয়েছিল শেখ মোরসালিনের। এ অবস্থায় জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখার বিষয়টাও অনিশ্চয়তার মেঘে ঢেকে যাচ্ছিল। কিন্তু লিগে দলের শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন এ ফরোয়ার্ড।
দিনের আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ড্র করলেই রানার্সআপ নিশ্চিত হতো আবাহনীর। ধানমন্ডির ক্লাবটি ম্যাচে ৩-০ গোলের জয়েই সেটা নিশ্চিত করেছে। আসাদুজ্জামান বাবলু, রাফায়েল অগাস্তো ও মিরাজুল ইসলাম আবাহনীর গোল তিনটি করেন।
মন্তব্য করুন